বিজ্ঞপ্তি : খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভা আজ বুধবার সংগঠন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ (১৭ মে)। দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশের মাটিতে পা রাখেন তিনি। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকাল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ওই দিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন লাখো মানুষ। ফলে মিছিল আর জনস্রোতের শহরে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে স্লোগান। ঝড়-বৃষ্টিও মিছিলের গতিরোধ করতে পারেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর প্রথমবারের মতো মাতৃভূমিতে ফেরেন শেখ হাসিনা। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে লাখো জনতার সংবর্ধনায় বঙ্গবন্ধুকন্যা সেদিন বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই কামাল, জামাল, রাসেল সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’ বক্তারা এসময় আরও বলেন,১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ সময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে রেহাই পান। পরে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দলের কাউন্সিলে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের বার বার নির্বাচিত সভাপতি, জেলা পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, সাবেক বিরোধী দলীয় হুইপ, বীরমুক্তিযোদ্ধা,আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ। বক্তৃতা করেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট আইনজীবী এ্যাড:সুজিত অধিকারী, সহ-সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবী এ্যাড: কাজী বাদশা মিয়া, বিশিষ্ট আইনজীবী এ্যাড:এমএম মুজিবর রহমান, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, বিএমএ ছালাম, মোস্তফা কামাল পাশা খোকন, রফিকুর রহমান রিপন,যুগ্ম-সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল সাংগঠনিক সম্পাদক , ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. রকিবুল ইসলাম লাবু, যুব ও ক্রীড়া ও সম্পাদক কাজী শামিম আহসান, শ্রম সম্পাদক মোজাফফর মোল্যা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোখলেসুর রহমান বাবলু, উপ-দপ্তর সম্পাদক সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, নির্বাহী কমিটির সদস্য ,অসিত বরন বিশ্বাস, শিউলি সরোয়ার, শাহিনা আক্তার লিপি, মোঃ জামিল খান । জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট আইনজীবী এ্যাড: এ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদের সঞ্চালনায় এসময় আরো বক্তৃতা করেন, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মানিকউজ্জামান অশোক, জেলা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী রায়হান ফরিদ,সাধারণ সম্পাদক ইন্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান সোহাগ, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি এ্যাড: সেলিনা আক্তার পিয়া, সাধারন সম্পাদক মনোয়ারা খাতুন শিউলি, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব খান সাইফুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী,শিউলি বিশ্বাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান রাসেল,যুবলীগ নেতা সর্দার জাকির হোসেন, এবিএম কামরুলইসলাম, দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পী,বিধান চন্দ্র রায়, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মো:ইমরান হোসাইন।