
জন্মভূমি ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যার পর শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই আজ সুন্দর-সমৃদ্ধ দেশ পেয়েছি। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার আদর্শকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয়নি।
সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নীলক্ষেতে সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মূলত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই সেবামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি চেয়েছিলেন সামাজিক-সাংস্কৃতিকসহ সব মুক্তবুদ্ধির চর্চা শুরু করতে। সেজন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের কাছে তাকে হার মানতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘাতকদের ভয় ছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি। তাই তার পরিবারের সবাইকেও হত্যা করা হয়েছিলো।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু কর্তৃক দেশে কর্নিয়াজনিত অন্ধত্ব দূরীকরণে ‘অন্ধত্বমোচন চক্ষুদান আইন’ প্রণয়ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সন্ধানীর জমিদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ১৪ আগস্ট ব্লাড ডোনেশন ও ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, বিভিন্ন জোন ও ইউনিটে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল এবং শাহবাগের বিসিএস প্রশাসনিক একাডেমিতে স্বেচ্ছায় রক্তদান
কর্মসূচি পালন করা হবে। একই সঙ্গে আগামী ১৭ আগস্ট বাগেরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তন এবং ১৮ আগস্ট ফকিরহাট উপজেলার শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে, ২৫ আগস্ট অফিসার্স ক্লাবে, ২৬ আগস্ট সাভার বেদে পল্লীতে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সহ-সভাপতি ডা. নীহার রঞ্জন রায়, যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. আলমগীর হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ডা. মঈনউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সদস্য অধ্যাপক ডা. দীপল কৃষ্ণ অধিকারী, কেন্দ্রীয় কাউন্সিলর ডা. কাজী আয়শা সিদ্দীকা এবং সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের সহ-সভাপতি সিফাত খান সৈত ও সাংগঠনিক সম্পাদক আওয়াফ তাজওয়ার।