মুহাইমিন সৌরভ : খুলনার জোড়াগেটে বসেছে সপ্তাহব্যাপী কোরবানির পশুরহাট। সিটি কর্পোরেশন হাটটি পরিচালনা করছে। শেষ মূহূর্তে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে জমে উঠেছে হাটটি। তবে এবার হাটে বেশি চাহিদা কম দামের ছোট গরুর। বড় আকারের গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিক্রেতারা।
নগরী খুলনার গল্লামারীর বাসিন্দা এস এম কামাল হোসেন জানান, চাহিদার তুলনায় হাটে গরুর সরবরাহ বেশি থাকলেও দাম কমছে না। অনেকেই বাজেট অনুযায়ী পছন্দমত গরু কিনতে পারছেন না। তাই অনেক ক্রেতা রবিবার অথবা সোমবারের ভোরের বাজারের জন্য অপেক্ষা করছেন।
রূপসার কচতলা গ্রামের খামারী হামিদুল ইসলাম জানান, হাটে বড় গরুর ক্রেতাই নেই। হাটের সময় ফুরিয়ে আসলেও ৫টির একটিও বড় গরু বিক্রি করতে পারেননি। দুয়েক জন দাম বলছেন। কিন্তু তা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। ওই দামে বিক্রি করলে লোকসান হবে। কারণ গরুর পেছনে অনেক খরচ। গো খাদ্য ও ওষুধের দাম অনেক চড়া।
পাঁচটি মাঝারী আকারের গরু হাটে এনেছেন ব্যাপারী সালাম শেখ। তিনি জানান, গ্রামের হাট থেকে ৫টি গরু কিনে এই হাটে নিয়ে এসেছেন লাভের আশায়। দুটি গরু বিক্রি করেছেন। কিন্তু গরু প্রতি ১০ হাজার করে লোকসান হয়েছে। ক্রেতা সংকট থাকায় লোকসান হলেও গরু ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
ডুমুরিয়া থেকে ২০ মণ ওজনের গরু এনেছেন ইমদাদুল ইসলাম। গরুটির দাম হাকাচ্ছেন ৯ লাখ টাকা। দাম উঠেছে সাড়ে ৫ লাখ। ৭ লাখে গরুটি বিক্রি করতে রাজি তিনি। রবিউল ইসলাম জানান, আড়াই বছর আগে ৩ লাখ ১০ টাকা দিয়ে দুই দাঁতের এই গরুটি কেনেন তিনি। গরুটি লালন পালনে ( খাবার ও ওষুধে) প্রতিদিন গড়ে ৭শত টাকা খরচ হয়। তাই ৭ লাখের নিচে বিক্রি করলে লোকসান হবে। এই দামে বিক্রি না হলে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন তিনি।
গত রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হাটে এক হাজার ৯শ’ ১৮ টি পশু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গরু ১২শ’ ৯৮ টি, ছাগল ৬শ’ ১২ টি এবং ভেড়া ৪ টি। কর্তৃপক্ষ বিক্রিত মূল্যের উপর পাঁচ শতাংশ হারে রাজস্ব আদায় করছেন। তখন পর্যন্ত মোট রাজস্ব আদায় হয়েছিল-৭৪ লাখ ২১ হাজার ১শ’ ৬০ টাকা। হাটের হাসিল ঘর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত