ডেস্ক রিপোর্ট : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইপি আই টিকা দেয়ার পর মিলছে না কার্ড। অবশ্য কোথায় কোথায় টাকা দিলে তা পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে সরকারি ভাবে কার্ড না থাকায় এই বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। সরকারিভাবে টিকা দানের কার্ড বরাদ্দ না থাকায় মাঠ কর্মীদের নিজস্ব টাকায় ঠিকাদারের কার্ড ছাপিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করতে হচ্ছে। কোথায় কোথায় বিনিময়ে আবার কোথায়ও ৩০-৫০ টাকা দিলে এই কার্ড মেলে।এছাড়া সেবা দেওয়ার জন্য মাঠকর্মীদের ব্যাগ ছিড়ে গেছে কয়েক বছর কিন্তু তারা চাহিদা মতো সে পাচ্ছে না বলে জানা গেছে। জানা গেছে
ইপিআই টিকা কার্ড না পেলে, জন্ম নিবন্ধন হচ্ছে না। যেকোনো শিশুর পরিচয়ের দালিলিক প্রমাণ হলো ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) টিকাকেন্দ্র থেকে পাওয়া ছোট আকারের হলুদ কার্ড। প্রত্যেক শিশুর জন্মনিবন্ধনের জন্যও এই কার্ড অপরিহার্য। কিন্তু শৈলকুপায় গত ছয় মাসে জন্ম নেওয়া অধিকাংশ শিশু এই কার্ড সরকারি ভাবে পায়নি। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে হলুদ কার্ড সরবরাহ বন্ধ থাকায় এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে নবজাতকের অভিভাবক ও ইপিআই টিকাদানকর্মীদের মধ্যে প্রায়ই বাক বিতান্ডের সৃষ্টি হচ্ছে ।
টিকাদানে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কার্ডের সংকটের কারণে টিকাদানকেন্দ্রগুলোতে সাদা কাগজের স্লিপে লিখে টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। হবে সাদা কাগজেই লিখে দেওয়া হচ্ছে পরবর্তী টিকাদানের তারিখ। কার্ড না পাওয়া পর্যন্ত সাদা স্লিপটি যেন না হারিয়ে যায় সে নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে অভিভাবকদের। অনেক সময় নিজেদের অর্থে ভোগান্তি লাঘবে টিকা কার্ড ছাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া এই সকল কাজে মাঠ কর্মিদের ব্যবহারের জন্য সরকার সরবরাহকৃত ব্যাগগুলো ছিড়ে গেছে, কিন্তু নতুন ব্যাগ পাচ্ছেনা।
হাসিবুল্লাহ নামের এক অভিভাবক জানান, আমার বাচ্চার জন্য কার্ড আনতে গিয়েছিলাম, বলছে কার্ড নাই, ছাপিয়ে এনে দেবে, পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে কার্ড দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শৈলকুপায় ইপিআই টিকাদানের কার্ড ফুরিয়ে গেছে, এজন্য মাঠ কর্মীরা চাইলেও দিতে পারছিনা, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, আমাদের সরবরাহ করলে আমরা দিব। তিনি স্বীকার করেন কোথাও কোথাও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তারা কার্ড দিচ্ছে জন ভোগান্তি লাঘবে।
অন্যদিকে ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. কামরুজ্জামান বলেন, আমি নতুন এসেছি, কার্ড নাই এমন কোন তথ্য আমার কাছে নাই, কাল অফিসে গিয়ে দেখবো, যদি না থাকে তাহলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
