
জন্মভূমি রিপোর্ট : শুধু রাজনীতি ও সাংবাদিকতা জগতে নিজস্ব অবস্থান সুদৃঢ় করেননি, সামাজিক অঙ্গনেও ছিল শহিদ সাংবাদিক হুমায়ূন কবীর বালুর অবাধ বিচরণ। যার কারণে মানুষের মনে তিনি চিরস্থায়ী জায়গা করে নিতে পেরেছেন।
সমাজের অসহায় আর দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কষ্টের সাথে একাত্ম ও সহানুভূতির অনেক টুকরো টুকরো ঘটনা রয়েছে হুমায়ূন কবীর বালুর। মসজিদ, মাদ্রাসা ও অভাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা, তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়ার অনেক নজির রেখে গেছেন হুমায়ূন কবীর বালু। এসব ব্যাপারে যাদের সাহায্য করতেন বা পাশে দাঁড়াতেন তাদের সাহায্য বা দানের কথা তিনি গোপন করে রাখতেন। সারাটি জীবন তিনি গোপনেই দুঃখী মানুষের সহায়তা করে গেছেন। অনেক কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা তাদের চরম মুহূর্তে হুমায়ূন কবীর বালুর সহযোগিতা পেয়েছেন। এসব অভাবী মানুষরা নির্দিষ্ট দিনে নিরবেই অফিস থেকে টাকা নিয়ে যেতেন। কেউ নির্দিষ্ট সময়ে টাকা নিতে না এলে তিনি অফিস পিয়নকে দিয়ে তার খোঁজ নিতেন। এই পরোপকারী মানুষ এত সহজে হারিয়ে যাবে তা কেউ কল্পনাও করেনি। তাই বছর ঘুরে হুমায়ূন কবীর বালুর শাহাদাৎবার্ষিকী ফিরে এলে এসব অভাবী মানুষরা দৈনিক জন্মভূমি অফিসে এসে ভিড় জমায়। নিজের অজান্তেই তাদের গণ্ড বেয়ে নেমে আসে অশ্রু। এ দৃশ্য বড়ই মর্মান্তিক।