
জন্মভূমি রিপোর্ট : আর এক দিন পরই ২৭ জুন। ঠিক এই দিনটি ছিল শহিদ হুমায়ূন কবীর বালুর জীবনের শেষ দিন। কে জানতো এই দিনে মহান মানুষকে কেড়ে নেওয়া হবে আমাদের কাছ থেকে। শহিদ সাংবাদিক হুমায়ূন কবীর বালু সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার সংগ্রামে আপোষহীন ভূমিকা পালন করে গেছেন। বিশাল হৃদয়ের এই মানুষটি অন্যের দুঃখে-কষ্টে সহজেই আপ্লুত হয়ে পড়তেন। খুলনা প্রেস ক্লাবের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে মত-পথ, নীতি-আদর্শের বিভেদ ভুলে সকল সাংবাদিককে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। তিনি ছিলেন খুলনার সাংবাদিক সমাজের জন্য ঐক্যের প্রতীক। আজ খুলনার সাংবাদিক সমাজ তাঁকে হারিয়ে প্রকৃত অর্থেই অভিভাবকহীন।
যে মানুষটি সারাজীবন অন্যের সুখে হেসেছেন, পরের দুঃখে কাতর হয়েছেন সেই মানুষটি আজ আমাদের মাঝে নেই। আছে শুধু তাঁর স্মৃতি। সেই স্মৃতিটুকু আঁকড়ে ধরে খুলনার অবহেলিত মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুনছে- কবে হবে হুমায়ূন কবীর বালু হত্যাকাণ্ডের বিচার। শাস্তি পাবে অন্ধকারের পিশাচরা। একজন মহান মানুষের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে আন্দোলন করতে হয় এমন নজির বিশ্বে কোথাও আছে কিনা আমাদের জানা নেই। তবে আজো বিশ্বাস আছে, “বিচারের বাণী নীরবেই কাঁদে।”