
জন্মভূমি ডেস্ক : জ্বর কমেছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। কিন্তু তার লিভারের জটিলতার কারণে শরীরে পানি বেড়ে যাওয়ায় নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এর ফলে শরীরের ওজন বেড়ে গেছে। শ্বাস-প্রশ্বাসেও কষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি, ঘন ঘন বমিও হচ্ছে। ফলে আরো কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের এরই মধ্যে কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে রেজাল্ট সন্তোষজনক আসেনি। তার লিভারের ফ্লুরিড যে পারমাণ থাকার কথা তা নেই।
জানতে চাইলে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথম যে অবস্থায় ও যে সমস্যার কারণে ম্যাডাম (খালেদা জিয়াকে) হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম সে অবস্থায় তিনি এখন নেই। তীব্র জ্বর ছিলো, এখন একটু কমেছে। কিন্তু লিভারের ফ্লুরিড কম থাকার কারণে তার শরীরে পানি এসে ফুলে গেছে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এর ফলে বাকি যে শারীরীকি পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করা যাচ্ছে না। শরীরের পানি কমলেই সেটা করা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে যখন প্রথম তার লিভারের জটিলতা তৈরি হয়েছিলো, তখন যদি বিদেশে চিকিৎসা করতে দেয়া হতো তাহলে আজকে এই সমস্যার সৃষ্টি হতো না।
এদিকে, দলীয় চেয়ারপারসনের অসুস্থতায় উবিগ্ন বিএনপির মহাসচিবসহ দলের নেতারা। দলীয় সভা সমেবেশে দলীয় চেয়ারপারসনের সুচিকিৎসার স্বার্থে তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন। খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড দফায় দফায় বৈঠক করে তার শারীরিক পরিস্থিতি পযালোচনা করছেন ও করণীয় ঠিক করছেন।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা এ দেশে আর সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন। তারা বলেছেন, তাকে দ্রুত দেশের বাইরে নেয়া দরকার।