
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা থেকে ভেটখালী পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়ক সংস্কারের নামে চলছে বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদের পর উচ্ছেদ এতে গৃহহীন হয়ে পড়েছে রাস্তার পাশের হাজার হাজার বাসিন্দা এদের কান্না শুনবে কে ? কে দিবে এদের সান্তনা কে দিবে এদের বাসস্থান কে দিবে এদের কর্মসংস্থান চারিদিকে তাকালে কান্নার কান্না বস্তিবাসীদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে সেই সাথে কাটছে পথচারীরা সাধারণ মানুষ শ্যামনগর উপজেলা সদর এখন পরিণত হয়েছে ভুতুড়ে নগরীতে । যে স্মৃতি ছিল ১৯৮৮ দশকে সেই স্মৃতি এখন আবার ফিরে এসেছে উচ্ছেদের পর। সকলেই দাবী জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের কাছে। তাদের দাবি বাসস্থান কর্মস্থানের জন্য সুযোগ্য জনবান্ধব কর্মদক্ষ জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ মহোদয় বিষয়টি আমলে নিয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে বস্তিবাসীরা আশায় বুক বেধেছে । গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র জনগণও আমাদের রাস্তা ও আমাদের তবে বস্তিবাসীদের একটি ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে তা না হলে তারা যাবে কোথায় খোলা আকাশের নিচে আর কতদিন বসবাস করবে। সারা দেশবাসীর নজর এখন সাতক্ষীরা থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের বস্তিবাসীর জন্য। আইনে তাদের থাকার অধিকার নেই কিন্তু জমা জমি হয়-সম্বল না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তার খানায় কোন রকমে মাথা ব্যথা ঠাই করে বসবাস করছেন তারাও এদেশের নাগরিক তাদের ভোট যেন প্রতিনিধি সরকারের প্রয়োজন সে কারণে বস্তিবাসীদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।একদিকে উচ্ছেদ অভিযান, অন্যদিকে আর্তনাদ। এমনই একটি হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে সড়ক উন্নয়নের লক্ষ্যে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শ্যামনগর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে ভেটখালী বাজার অভিমুখে সড়কের উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এ সময় বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় সব অবৈধ স্থাপনা। এতে বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েন সড়কের পাশে বসবাস করা শতাধিক পরিবার। চোখের সামনে বাড়িঘর গুড়িয়ে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।
স্থানীয় সখিনা খাতুন তার বসতঘর হারিয়ে বলেন, আমরা দীর্ঘ ৫০ বছর রাস্তার পাশে বসবাস করে আসছি। কেউ আমাদের উঠিয়ে দেয়নি। আমাদের বসবাসের কোনো জায়গা নেই। এখন আমরা কোথায় যাব? পরিবারের শিশু-বৃদ্ধেদের নিয়ে কোথায় থাকব?
এদিকে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের দাবিতে তাৎক্ষণিক প্লাকার্ড হাতে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় কিছু তরুণ।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া হাফিজুর রহমান ও জান্নাতুল নাঈম বলেন, উচ্ছেদ হওয়া ভূমিহীনদের মানবিক দৃষ্টিতে অন্যত্র পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি গুচ্ছ গ্রামে তাদের বসবাসের সুযোগ করে দিতে হবে। আমরা অবশ্যই উন্নয়ন চাই কিন্তু এতগুলো পরিবার যাবে কোথায়? তাদের বাসস্থান নিশ্চিত করার দায়িত্ব অবশ্যই রাষ্ট্রের।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রনী খাতুন বলেন, যদি কোনো ভূমিহীন সরকারি খাস জায়গা বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করে, আমরা সেটি বিবেচনা করব, কিন্তু তাৎক্ষণিক তাদেরকে পুনর্বাসনের সুযোগ নেই।