
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : আমরা এক সময় শুনতাম খুলনার এরশাদ শিকদারের কাহিনী কলি থেকে কোটিপতি। তাই হয়েছে এখন সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আওয়ামী লীগের ক্যাডার আব্দুর রহমান বাবু। এই আব্দুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে গাবুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মেগা প্রকল্পে কোটি কোটি টাকার বালি সরবরাহ করেছে এখনো এই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে । দেখার কেউ নেই। আওয়ামী লীগের এই দুরবস্থার সময় সকল নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া অথচ আওয়ামী লীগ ক্যাডার আব্দুর রহমান বাবু বহাল তবিয়াতে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং সকল জায়গায় ম্যানেজ করে ভাঙ্গন কবলিত নদী থেকে কোটি কোটি স্কয়ার ফুট বালি উত্তোলন করছে। এবার আসি সেই কুলি থেকে কোটিপতির কাহিনীতে। এই আব্দুর রহমান বাবু মাত্র বছর তিনিক আগে ছিলেন একজন হতদরিদ্র বর্তমানে তিনি কিনেছেন ১৫ লক্ষ টাকা বিঘাদরে ২৫ বিঘা জমি ।করেছেন কোটি টাকার আলিশান বাড়ি ও বিলাসবহুল গাড়ি। তার জীবন যাপন বর্তমান চলছে রাজকীয় হালে। তিনি আওয়ামী লীগের ১৭ বছরে ছিলেন একজন আওয়ামী লীগ ক্যাডার নামে পরিচিত ,কিন্তু এখন তার কেউ কিছু বলার নেই সকল জায়গায় অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তার এই অবৈধ ব্যবসা এবং বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকায় রাত্র যাপন করছেন নিজ বাড়িতে। এই আব্দুর রহমান বাবু জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা মহোদয়ের ইজা কৃত বালিমহল থেকে বালি উত্তোলন না করে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন সংলগ্ন খোল পেটুয়া নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থাকে প্রতিদিন ২০ থেকে ৫০কার্গো বালি উত্তোলন করছে। যার কারণে নদী ভাঙ্গন প্রবাল আকার ধারণ করেছে । এ ব্যাপারে এই প্রতিবেদক সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মিসেস আফরোজা আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি তো নতুন এসেছি সবেমাত্র আপনার মুখে শুনলাম বিষয়টি যাচাই করে দেখছি সত্য হলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই আব্দুর রহমান বাবুর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগে এর আগেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে যার প্রেক্ষিতে সদ্য বিদায়ী শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মৎ রনি খাতুন আব্দুর রহমান বাবুর অবৈধ বালুর কার্গো আটকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। তারপরেও থামেনি আব্দুর রহমান বাবুর অবৈধ বালি উত্তোলন এখন প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে রাতের আধারে প্রতিনিয়ত অবৈধ ভাবে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে বালি উত্তোলন করেই চলেছে। সাধারণ মানুষ জানতে চায় এই আব্দুর রহমান বাবুর খুঁটির জোর কোথায়। এই বালু দর্শন আব্দুর রহমান বাবুর সাথে ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ও শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতা তাদের ছত্রছায়া থাকে আব্দুর । দেবো তোমায় ।এদিকে খুলনা সুন্দরবনের ৬০ শতাংশ এলাকা উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে অবস্থিত। মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে এরই মধ্যে সুন্দরবন পরিবেশগত ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বনের আশপাশের নদ-নদীতে বালু উত্তোলনে সরকারিভাবে কোনো অনুমোদন নেই। তবু পশ্চিম সুন্দরবনের কয়েকটি এলাকার নদ-নদীতে খনন যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সুন্দরবনন নও নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙনের ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি বিলীন হচ্ছে উপকূলীয় নদীপাড়ের বনের অংশ ও লোকালয়। এতে সুন্দরবন এলাকা ও উপকূলীয় বাঁধ আরও ঝুঁকিতে পড়ছে।
সুন্দরবন ও নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে অব্যাহতভাবে বালি উত্তোলনে ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে
বিলীন হচ্ছে উপকূলীয় নদী পাড়ের বনের অংশ ও ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট উপজেলার এসিল্যান্ড ও জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছে পাউবো
কয়রা শ্যামনগর ও দাকোপ উপজেলার কোনো নদ-নদী থেকে বালি তোলার অনুমতি নেই: জেলা প্রশাসক
স্থানীয়রা বলছেন, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের প্রভাবে সৃষ্ট ভাঙন রোধে প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। বিপুল অর্থ খরচ দেখিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে নদীতীর রক্ষা বাঁধ, যা সংস্কারের অল্প দিনেই ফের ধসে পড়ছে। বছর না ঘুরতেই ওই স্থানে আবারো নেয়া হচ্ছে প্রকল্প। এরইমধ্যে পশ্চিম সুন্দরবন ঘেঁষা কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদ, শাকবাড়িয়া নদীসহ কয়েকটি এলাকার গাছপালা ভেঙে নদ-নদীতে পড়তে শুরু করেছে। কয়েকটি স্থানে ভাঙনের পরিধিও বেড়েছে। সে কারণে উপকূলবাসীর সরকারের কাছে জোর দাবি প্রতিবছর অপরিকল্পিত ভেরি বাদ নদী ভাঙ্গনের মূল কারণ নদী থেকে বালে উত্তোলনের জন্য তাই উপকূলের নদী থেকে চিরতরে বালি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে তা না হলে প্রতিবছর উপকূলের মানুষের এই নদী ভাঙ্গন আর বাঁধ ভাঙ্গনের কারণে উপকূলীয় এলাকায় বসবাস করাওয়ান উপযোগী হয়ে পড়ছে। উপকূলীয় এলাকার নদী থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ হলে পর্যায়ক্রমে কমে আসবে নদী ভাঙ্গন ও ভেড়িবাঁধ ভাঙ্গন শান্তিতে বসবাস করতে পারবে উপকূলের মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এ অবৈধ বালু ব্যবসায় জড়িত। কয়রার মদিনাবাদ এবং দাকোপের বটবুনিয়া এলাকার দুই ব্যক্তির নিজস্ব কয়েকটি খনন যন্ত্রসহ বালু উত্তোলনের বড় ব্যবসা রয়েছে।
এ ব্যাপারে পাউবো খুলনা-২-এর প্রাক্তন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে সেখানে বড় ধরনের গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে। সেই গর্তে বেড়িবাঁধ ধসে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলার এসিল্যান্ড ও জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবন, যার ৬৬ শতাংশ বাংলাদেশে; বাকিটা ভারতে। জলবায়ু সংকট প্রকট হয়ে ওঠার সঙ্গে বনাঞ্চলের ঝুঁকিও ক্রমে বাড়ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অল্প কয়েক ফুট ওপরে এ বনভূমি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এতটাই সর্বব্যাপী যে প্রাণী ও উদ্ভিদজগতের ওপর সেই চাপ অসহনীয় মাত্রায় পরিলক্ষিত হচ্ছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, ‘জীববৈচিত্র্যের অসামান্য সম্ভার সুন্দরবনের পরিবেশগত ও বাস্তুতান্ত্রিক গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে ১৯৯৭ সালে একে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো। কিন্তু অপরিকল্পিত ও পরিবেশের তোয়াক্কা না করে যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে একে নানাভাবে সংকটে ফেলছি আমরা।’
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা ফাউন্ডেশন’-এর নির্বাহী পরিচালক শুভ্র শচীন বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় পরিকল্পিত ও স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মিত না হওয়ায় প্রতি বছরই ভাঙন দেখা দেয়। অথচ এ এলাকার ভাঙনকবলিত এলাকার নদ-নদী থেকে সারা বছরই বালু তুলছে কয়েকটি চক্র। এতে সেই স্থানে বাঁধ ধসে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে।’
খুলনা জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, রূপসা ব্রিজের দক্ষিণ থেকে দাকোপের চালনা এলাকার পূর্ব পাশ পর্যন্ত খুলনা জেলা প্রশাসনের আওতাধীন একমাত্র সরকারি বালুমহাল। এর বাইরে জেলার কোনো এলাকায় বালু উত্তোলনের অনুমতি নেই। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী, সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু তোলা যাবে না। আইন অমান্যকারীর দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
এ ব্যাপারে পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এজেডএম হাছানুর রহমান বলেন, ‘সুন্দরবনের পাশের নদ-নদী থেকে বালু তোলা বনের জন্য হুমকি। এ বিষয়ে আগে কয়েকবার খনন যন্ত্রের মালিকদের নিষেধ করা হয়েছে। তবে তারা প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
কয়রা উপজেলার বাসিন্দা ইউনুছ আলী বলেন, ‘পশ্চিম সুন্দরবনের নদ-নদী থেকে বালু তোলার পেছনে কয়েকটি শক্তিশালী চক্র রয়েছে। দীর্ঘদিন স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে এ কাজ করছে তারা। পাউবোর ঠিকাদাররাও এ চক্রের সঙ্গে চুক্তি করে বালু তোলে।’
কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্পটে বালু উত্তোলনের ফলে নদীভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রশাসন মাঝে মধ্যে দুই-একজনকে জরিমানা করলেও বালু উঠানো বন্ধ হয়নি। ’
কয়রা উপজেলার বেড়িবাঁধের কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিন অ্যান্ড কোম্পানির প্রতিনিধি আমিনুর ইসলাম জানান, তাদের বস্তা ডাম্পিং, জিও ব্যাগ ভর্তি ও বেঁড়িবাধের কাজে বালুর প্রয়োজন হয়। এজন্য তারা হারুন নামে একজনের কাছ থেকে ৬ টাকা ঘনফুট চুক্তিতে আট লাখ ঘনফুট বালু নিয়েছেন। তবে বালু কোথা থেকে আসছে তিনি এ বিষয়ে জানেন না।
সরজমিনে কয়রার কপোতাক্ষ নদ ও শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের খোল পেটুয়া নদী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদের হরিণখোলা চর দখল করে দুটি ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, এই বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা যে যুবলীগের প্রচার সম্পাদক যুবলীগ নেতা আব্দুর রহমান বাবু। গত বছরের ৫ আগস্টের পর শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব যুবদল নেতা আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুর তার সহযোগী হিসেবে এ কাজে যুক্ত হয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে শ্যামনগর যুবলীগ নেতা আব্দুর রহমান বাবুর কাছে ফোনে করা হলে তিনি প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে কপোতাক্ষ নদের চর ইজারা নিয়েছেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফোন বন্ধ করে রাখেন।
যুবদল নেতা আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুর দাবি করেন, ‘অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে আমি ও আমার কোনো লোক জড়িত নয়।’ওই সমস্ত ব্যবসা করে শ্যামনগর যুবলীগ নেতা আব্দুর রহমান বাবু
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালু তোলার কাজে নিয়োজিত এক শ্রমিক বলেন, সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত বালু তোলা হয়। একেকটি বাল্কহেডে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার ঘনফুট বালু বোঝাই করা হয়। একেকটি ড্রেজার দিয়ে প্রতি রাতে ১ লাখ থেকে ২ লাখ ঘনফুট বালু তোলা হয়। প্রতি ঘনফুট বালু ৫-১০ টাকায় বিক্রি হয়।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ বেঁড়িবাধের কারণে নদ-নদী থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষেধ। তার পরও যদি কেউ নদী থেকে বালু তোলে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অন্য উপজেলা দাকোপের চালনা বাজারের অদুরে মেরিন মাছ কোম্পানির সামনে ভাঙনকবলিত এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে বার্জে করে নদীতে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ কাজের বালুসংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় নদী থেকেই নিচ্ছে। আর এ কাজেই প্রকল্পের বরাদ্দের অর্থ লোপাট করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রতিনিধি এবং কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তাকে ওই স্থানে পাওয়া যায়নি।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। তবে নদীতে বালুর বস্তা ডাম্পিং-এ নদীর বালু কাটা হচ্ছে কিনা আমার জানা নেই- খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
সদ্য যোগদানকারী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মিসেস আফরোজা আক্তার এই প্রতিবেদককে বলেন, শ্যামনগর ‘কয়রা ও দাকোপ উপজেলার কোনো নদ-নদী থেকে বালু তোলার অনুমতি নেই। কারণ উপকূলীয় ওইসব এলাকা নদীভাঙন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এব্যাপারে কথা হয় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকারের সাথে। অবৈধভাবে নদীর ভাঙ্গন থেকে বালি উত্তলনের বিষয়টি ওনাকে অবহিত করা হলে উনি এই প্রতিবেদককে বলেন বিষয়টি আমার জানার বাইরে ছিল । আপনি যখন অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমাকে অবহিত করলেন আমি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে বিষয়টি যাচাই করে এবং জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরার সাথে কথা বলে অবিলম্বে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধসহ বালিদর্শীদের বিরুদ্ধেদেশের প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত