সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকল্পের কাজ না করে টাকা উত্তোলনের আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠছে,,, বুড়ি গোয়ালে নি ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন ২০২৩২৪ও ২০২৪ ২৫ অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদের জনগণের দেওয়া ট্যাক্স ভূমি উন্নয়ন কর কাবিখা কাবিতা টি আর এডিবি সহ নানান স্থানীয় সরকারের প্রকল্পের টাকা প্রকল্পের কাজ না করে বিল উত্তোলন করে ক্ষমতায় টাকা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম আত্মসাৎ করেছেন,,, ওই সমস্ত জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম কাগজ-কলমে প্রকল্প উপজেলায় দেখিয়ে কোন প্রকার এক টুকরো কাজ না করে উপজেলার সংশ্লিষ্ট অফিসকে ম্যানেজ করে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে,, প্রত্যক্ষ দশেরা অভিযোগ করে বলেন সরকারের টাকা জনগণের কোন কাজে চেয়ারম্যান ব্যবহার করেনি ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করেছে আর জনগণ রাস্তাঘাট বিভিন্ন অবকাঠামো থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং বারবার বঞ্চিত হচ্ছে,। গত ২৩ ২৪ অর্থবছরে টি আর কাবিখা কাবিতা ভূমি উন্নয়ন কর এডিবি সহ কোন প্রকল্পের কাজ করেনি অথচ উপজেলায় কাগজপত্র ২৩ ২৪ অর্থবছরে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার প্রকল্প বিল উত্তোলন করেছে তা এখনও জ্বলজ্বল করছে । স্থানীয় জনগণের দেওয়া ট্যাক্সের টাকা নিজের ইচ্ছায় ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছে বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে জানতে চাইলে সঠিক বলেন কিছু কিছু বিষয় আছে সেগুলো আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে পারি না আপনারা আর কিছু শোনার চেষ্টা করবেন না। বুড়িগালেন ইউনিয়নের তেজান্তরনাথ মন্ডল ৩৫ ভবতোষ গান ৪৩ আনসার আলী ৩৫ আমিনুর রহমান চল্লিশ শামসুর রহমান ৪২ মমতাজ হোসেন 33 আবুল হোসেন ৫৫ তাপস মন্ডল ৩২ কার্তিক মণ্ডল 43 বেলাল হোসেন পয়ত্রিশ আব্দুল আলিম ৪০ মনোয়ার হোসেন ৪৩ গৌরাঙ্গ মন্ডল ৪৫ শাহাজান আলী পয়ত্রিশ মিজানুর রহমান ৬৫ তাজউদ্দীন ৬৫ গণেশ মণ্ডল ৮২ দ্বিজেন্দ্রনাথ মন্ডল ৫৫ আকরাম হোসেন ৩৫ জব্বার গাজী ২৩ মামুনুর রশিদ ৬৫ মোমিন হোসেন 55 আখতার হোসেন ৫৬ নূর হোসেন ৬৫ জনাব আলী ৮২ কাওসার ৬৬ সওকত আলী বাহ তোর নূর মোহাম্মদ ৪১ মিকাইল হোসেন ৫৫ তোজামউদ্দিন ৩৩ মান্নান ঢালী ৩৫ আলামিন ৬৬ কালীপাতা মন্ডল ৮২ সহদেব মন্ডল ৫৫ রনজিত মন্ডল ৫৩ বিশ্বনাথ মন্ডল ৪২ তাইজুল ইসলাম ৪২ মামন গাজী ৭৭ একরামুল হক ৬৩ গৌতম মন্ডল ৫৫ মানবেন্দ্র মন্ডল 63 সারা জমিনে গেলে এরা সবাই চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের নানামুখী দুর্নীতি ও অপকর্মের কথা তুলে ধরেন তাদের মুখে ভাষণ এই তিন বছর কেটে গেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বুড়িগালেন ইউনিয়নে কোন দৃশ্যমান কাজ করতে পারেনি সরকারি টাকা আসলেও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও তার সাথে থাকা হাতে গোনা দুই একজন ইউপি সদস্য এই কর্মকাণ্ড করেন,। স্থানীয় জনসাধারণ এই প্রতিপাদকে আরো জানান ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ভূমি উন্নয়ন কর। টি আর কাবিখা, কাবিতা এডিবি সহ বিভিন্ন খাটোয়ারী সরকারি বরাদ্দের টাকার পাট পাট প্রকল্প উপজেলায় পাঠিয়েছেন কোন প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন কোন প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের পথে আবার কোন প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের জন্য ফাইল প্রস্তুত করছে কিন্তু মাঠে কোন কাজ দেখা যাচ্ছে না । স্থানীয় জনসাধারণ আরো জানান বর্তমান অর্থবছরে শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন সরকারি খাত থেকে বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নে ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে কিন্তু কোথাও এক টাকা ব্যবহার করেছে এমন কোন নমুনা নাই ,, এ ব্যাপারে কথা হয় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি খাতুন এর সাথে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন বুড়িগালিণী ইউনিয়নের ২০২৩ ২৪ অর্থবছরের এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের যাবতীয় কাজ এবং কাজের স্থান বিল উত্তোলন সবকিছু অতিদ্রুতই তদারকি করা হবে সংশ্লিষ্ট সাফ অফিসে বুড়িবালিনী ইউনিয়নের তিন বছরের উন্নয়নমূলক কাজের প্রকল্পের তালিকা চাওয়া হয়েছে যাচাই করে দেখে সঠিক হলে সরকারের টাকা কসাগারে ফেরত সহ প্রকল্প চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে,, এই প্রতিবেদকের সাথে মুঠো ফোনে কথা হয় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সাথে বুড়িগালেন ইউনিয়নের জনসাধারণের অভিযোগের কথা জেলা প্রশাসক মহোদয় কে অবহিত করা হয় তিনি ধৈর্য সহকারে শুনে এই প্রতিবেদককে বলেন ২৪ ২৫ অর্থবছরের কাজের সময় এখনো ৩০ শে জুন পর্যন্ত আছে বাকি দুই অর্থবছরের কি কাজ করেছে তা অতি জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এছাড়া এই সমস্ত টাকা যারা লুটপাট করেছে সেই সমস্ত ইউ পি সদস্যদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব শেষ কথা হয় বুড়ি গালেনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সাথে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন ভাই আমার চেয়ে আপনি ভালো বোঝেন কোন প্রকল্পের কাজ না করে বিল উত্তোলন করা যায় না আর আমিও কোন ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল উত্তোলন করেনি,, তিনি আরো বলেন আমার এত অভাব হয়নি যে জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে নিজের পকেট ভারি করবো এক শ্রেণীর আসাদু মহল আছে তারা আমাকে নানানভাবে ভ্যানেস্তা করার জন্য পায়ে তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন প্রশাসনিকভাবে তদন্ত হোক তাহলে বোঝা যাবে আমি কতটুকু অপরাধী