
জন্মভূমি রিপোর্ট : শ্যামনগর প্রায় সবকয়টি স্কুলে এস.এস.সির ফরম পূরণে অতিরুক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীরা ।
জানাযায়, শ্যামনগরের অধিকংশ মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে এস.এস সি পরিক্ষার ফরম পুরণে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে অতিরুক্ত টাকা নিচ্ছে শিক্ষাকরা।একতো দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতিতে অভিভাবকরা হিম শিম খাচ্ছে সংষার চালাতে তার উপর সন্তানদের পরিক্ষার ফিস দিতে শিক্ষকরা রেখেছে চাপের মুখে । শিক্ষকরা ৩১শ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে এস. এস. সির ফরম পূরণে । বোর্ড নিধারিত ফিস রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগে বোর্ড ফিস ১৬২৫ ও সেন্টার ফিস ৫১৫ টাকা মানবিক ও ব্যাবসায়িকশিক্ষা ১৫৩৫টাকা ও সেন্টার ফিস ৪৮৫টাকা অথচ শিক্ষকরা এসব না মেনে ইচ্ছা মত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । গরীব অভিভাবকরা গরু ছাগল হাঁস মুরগী বিক্রি করে শিক্ষকদের দাবী পূরণে বাধ্য হচ্ছেন। কলবাড়ী নেকজানিয়া স্কুলের এস. এস সি তে ৩৮ জন পরীক্ষাথী রয়েছে তাদের সকলের অভিযোগ শিক্ষকরা ৩১শ থেকে ৩৫শ টাকা করে নিয়েছে । শিক্ষকদের দাবীর টাকা না দিলে পরীক্ষা দিতে দেবে না এমন হুমকি দিয়েছে । এ খবর কাউকে জানালে ব্যবহরিক পরিক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হবে বলে পরিক্ষার্থীদের জানিয়ে দিয়েছে।কোন ছাত্র যদি কোন বিষয়ে অকৃতকার্য থাকে তাদের নিকট থেকে বিষয় প্রতি আরও ২শ টাকা করে অতিরুক্ত নেওয়া হচ্ছে।নেকজানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে এক ছাত্র জানায়,তার মায়ের পরনের কাপড় বিক্রি করে পরিক্ষার ফরম পূরণের টাকা দিতে বাধ্য করেছে শিক্ষকরা।একজন অভিভাবক জানান, গরু ,ছাগল হাস,মুরগী বিক্রি করে সন্তানদের পরিক্ষার টাকা যোগাড় করতে হয়েছে।এক ছাত্র জানায়,২২শ টাকা নিয়ে স্যারের কাছে গিয়েছিলাম স্যার টাকা না নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে এখনও ফরম পূরনের টাকা দিতে পারি নাই। এ ব্যাপরে নেকজানিয়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিবাশিষ বাবুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, সামান্য কিছু বেশী নিচ্ছি স্কুলের খরচের জন্য। এব্যাপরে কথা হয় মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি নকিপুরপাইলট গালর্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণনন্দ মুখর্জীর সাথে তিনি বলেন অনেকে আমার নিকট বলেছে আমি নিশেধ করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে মাধ্যামিক শিক্ষা কর্মকর্তারা সাথে কথা বললে তিনি বলেন অতিরুক্ত টাকা নিলে যদি প্রমান পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এব্যাপারে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী তুলেছে।