সিরাজুল ইসলাম (শ্যামনগর): সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পিতার বকুনি খেয়ে আসমা আক্তার নামে (২২) এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার রমজাননগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
একই গ্রামের মুজিবর গাজী ওরফে বাঘ মুজিবরের মেয়ে আসমা সোনারমোড় এলাকার আবুজার হোসেনের স্ত্রী। ইয়াছিন আরাফাত নামে সাড়ে তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে তার।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বামীর সাথে মনোমালিন্যের জেরে গত তিন-চার মাস ধরে পিতার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন আসমা। শনিবার বিকালে পিতা মুজিবর রহমান বকুনি দিয়ে তাকে নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। একপর্যায়ে সন্ধ্যার পর পরিবারের সদস্যরা অন্য কক্ষে অবস্থানের সুযোগে আসমা শোবার ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মুজিবর রহমান জানান, পারিবারিক কারণে তাকে সামান্য বকাঝকা করেছিলেন। তবে মেয়ের আত্মহত্যার জন্য তার জামাই আবুজার দায়ী। তালাক দেয়া প্রথম স্ত্রীকে আবারও সংসারে ফিরিয়ে আনার ঘটনায় কষ্ট পেয়ে তার মেয়ে তিন-চার মাস আগে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছিল। এসব কারণে আসমা মানসিক কষ্টে ভুগছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে আবুজার হোসেন জানান, তার প্রথম স্ত্রীর বিষয়ে আসমা সবকিছু জানতেন। পরবর্তীতে পিতামাতার প্ররোচনায় সে রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্বামীর প্রতারণার পর পিতার বকুনি খেয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে আসমা।
শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।