
শ্যামনগর প্রতিনিধি : কোন প্রকার ঘটনা ছাড়াই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডাঃ আনিছুর রহমান কর্তৃক গত ২৪ মার্চ শ্যামনগর থানার (মামলা নং-৪০) রহমত ও আলীমুল এর নামে মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলা দিয়ে হয়রানি করায়, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টায় শ্যামনগর এম আর এ ক্লিনিকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ব্যানারে শ্যামনগর প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এম.আর এ ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ সোলাইমান হোসেন, নির্বাহী পরিচালক মো: মিজানুর রহমান, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ গোলাম বাবু, লাকী পারভীন, শাহাজান সিরাজ, অনিল বৈদ্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মানববন্ধনে বক্তৃতারা বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রভাষক ডা. আনিছুর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক কাজ করে আসছে সে একজন মাদকসেবী নারী লোভী ক্লিনিকের নার্সের সঙ্গে অবৈধ অন্তরঙ্গ শারীরিক সম্পর্ক গড়েতুলে তার আপত্তিকর ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই অবিলম্বে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। সে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ক্লিনিকটি অবৈধভাবে দখল রেখে ক্লিনিকটি পরিচালনা করে আসছেন। ইতোমধ্যে তার ভুল চিকিৎসায় অনেক রোগীকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। সে মাদক নেশায় আসক্ত হয়ে ভুল চিকিৎসা করে থাকেন এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শ্যামনগর এম আর এ ক্লিনিকের পার্টনারেরা ন্যায্যদাবি আদায়ের জন্য তার সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বলে যে, ক্লিনিক সম্পর্কে আমার কাছে দাবি নিয়ে আসলে আমি তোদের মামলা জড়িয়ে দিব। ক্লিনিক সব আমার নামে লিখে দে তোরা। আমরা সকল সদস্যরা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মধ্যস্থা হিসাবে রহমতকে রাখা হয়। আমরা সকল সদস্য একতম পোষণ করিলেও ডাঃ আনিছুর রহমান রহমতের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরবর্তীতে ডাঃ আনিছুর রহমান রহমতকে টাকার লোভ দেখিয়ে ম্যানেজ করা চেষ্টা করে। রহমত রাজি না হওয়ার কারণে তাহাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নাজেহাল করিতে থাকে। রহমত ও আলিমুলের মিথ্যা মামলা হতে অব্যহতি সহ ক্লিনিকের সঠিক পরিচালনা পাওয়ার জন্য সঠিক তদন্ত করে ডাঃ আনিছুর রহমানের শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।