By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: শ্যামনগরে যমুনার মতো হারিয়ে গেছে গোপালপুর গোবিন্দ মন্দির
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > শ্যামনগরে যমুনার মতো হারিয়ে গেছে গোপালপুর গোবিন্দ মন্দির
তাজা খবরসাতক্ষীরা

শ্যামনগরে যমুনার মতো হারিয়ে গেছে গোপালপুর গোবিন্দ মন্দির

Last updated: 2025/01/03 at 10:53 AM
করেস্পন্ডেন্ট 8 months ago
Share
SHARE

সিরাজুল ইসলামr শ্যামনগর : আঙুল উঁচিয়ে পীযুষ ক‍ান্তি মণ্ডল বলছিলেন “শুনেছি মন্দিরের কোল ঘেঁষে এক সময় কলকল করে বয়ে যেতো যমুনা। চর পড়লে দখল হয়ে যায় ধীরে ধীরে, গড়ে ওঠে জনবসতি”।
মন্দির থেকে পূব দিকে নেমে যাওয়া কয়েক সিঁড়ি এখনও মিলিয়ে যায়নি। সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আঙুল বর‍াবর খুব বেশি দূর চোখ এগুলো না- বাড়িতে আটকে যায়! পূজা উদযাপন কমিটির সেক্রেটারি আরও আক্ষেপ করলেন, মন্দিরের জায়গা পর্যন্ত চলে গেছে বসত ঘরের নীচে।
এখন গোপালপুর মোড় থেকে মন্দিরে আসার রাস্তা নির্মাণ করার জমি পাওয়া যাচ্ছে না।
শ্যামনগর থানা সদর থেকে এক মাইল পশ্চিমে গোপালপুরের মন্দিরটি গোবিন্দ দেবের মন্দির নামে পরিচত।
যদিও স্থানীয়রা গোপালপুরের পরিচয় দেন ‘চডেরাবিল’।
গোপালপুর মোড় থেকে যে রাস্তা হাতের বাঁয়ে নেমে গেছে তার দশা বেহাল! পায়ে ঠেলা ভ্যানে দশ মিনিটের পথ এসে এখান থেকে ইট ফেলা পায়ে হাঁটা সরু পথ ধরে মন্দিরে পৌঁছাতে সময় লাগে আরও কুড়ি মিনিট।
নেই কোনো সাইনবোর্ড, পথ নির্দেশনা। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সমাধী পেরিয়ে বাগানের ভেতরে গেলে চোখে পড়বে একটি মাটির ঢিবি।
ওপরে অবাধ্য বেড়ে উঠেছে চেনা-অচেনা নানা গাছ। মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে ঘাসের দল!
তবে দেখার কেউ নেই বলা যাবে না। জঙ্গল পেরিয়ে মন্দিরের দিকে একটু এগিয়ে গেলেই দেখতে পাবেন বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের একটি সাইনবোর্ড- ‘কোন ব্যক্তি এই পুরাকীর্তির কোন রকম ধ্বংস বা অনিষ্ট সাধন করলে বা এর কোন বিকৃতি বা অংগচ্ছেদ ঘটালে বা এর কোন অংশের উপর কিছু লিখলে বা খোদাই করলে বা কোন চিহ্ন বা দাগ কাটলে, ১৯৬৮ সালের ১৪ নং পুরাকীর্তি আইনের ১৯ ধারার অধীনে তিনি সর্বাধিক এক বৎসর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন’।
সেখানে কেবল কালের সাক্ষী ছাড়া কিছুই নেই। পাশে নতুন করে গড়ে তোলা একচালা ঘরে এখন পূজো হয়।
ইতিহাস বলে, ১৫৯১ সালে উড়িষ্যার পাঠানরা যখন মোঘলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে, তখন তারা জগন্নাথের মন্দির দখলে নিয়ে ধীরে ধীরে কটক ও জলেশ্বরের দিকে এগুতে থাকে। শেষে বিষ্ণুপুরের ভূঁঞা হাম্বীর মল্লের রাজ্য আক্রমণ করে। মোঘলরা তাদের প্রতিহত করতে সামন্ত রাজাদের আদেশ দিলে প্রতাপাদিত্য উড়িষ্যা অভিযান শুরু করেন। ১৫৯৩ সালে প্রতাপাদিত্য উড়িষ্যা অভিযান শেষ করে তার রাজধানী যশোরে ফিরে আসেন। ওই সময় তিনি দু’টি অপূর্ব মূর্তি সঙ্গে আনেন। একজন সেবাইতকেও আনেন। বিগ্রহ দু’টি দেখে তার পিতা বসন্ত রায় খুবই আনন্দিত হন এবং মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। অল্পদিন সে মন্দির নির্মাণ করা হয়। বিগ্রহের সঙ্গে উড়িষ্যার যে ব্রাহ্মণ এসেছিলেন তার নাম বল্লভাচার্য। মন্দির তৈরির পরে তাকেই সেবাইত নিযুক্ত করেন প্রতাপাদিত্য।মন্দিরে প্রবেশের জন্য বাইরের দেয়ালের প্রতিটি পাশে দু’টি করে মোট আটটি দরজা ছিলো আর মূল মন্দিরের পূর্ব-পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে ঠিক মাঝখানে তিনটি দরজা ছিলো। কেবল উত্তর পাশে কোনো দরজা ছিলো না। উত্তর দিকে বিগ্রহ বসানো জায়গা ছিলো- তা এখনও পরিষ্কার বোঝা যায়।অবয়ব দেখে মন্দিরটি এক তলা মনে হলেও এটি দোতলা ছিলো- এমন মত দিয়েছেন ঐতিহাসিক সতীশ চন্দ্র মিত্র।
ধারণা করা হয়, প্রতাপাদিত্যের আনা বিগ্রহ দু’টি প্রথমে রায়পুরে- সেখান থেকে কাঠুনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর একটি হলো শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি, অন্যটি রাধারাণীর মূর্তি। যদিও এ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক।
সেবাইত বল্লভাচার্য যেনো স্থায়ীভাবে এ দেশে বসবাস করতে পারেন সেজন্য প্রতাপাদিত্য তাকে অধিকারী উপাধি দেন। শুধু তাই নয়, রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণ কন্যার সঙ্গে বল্লভাচার্যের সঙ্গে বিয়েও দেন। তার বংশ ধরেরা এখনও অধিকারী হিসেবে পরিচিত।
গোবিন্দ দেবের মন্দিরের পশ্চিম দিকে ছিলো প্রশস্ত দোলমঞ্চ। প্রতিবছর দোল পূর্ণিমায় ওখানে মেলা বসতো। সেই ভিত নেই, এখন রয়েছে মাটির উঁচু বেদী। সেখানে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি খেজুর গাছ। জানান দিচ্ছে কোলাহলে মুখর এক সময়ের ‘গোবিন্দ দেবের মন্দির’ আজ কত একা!

করেস্পন্ডেন্ট January 3, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article দেবহাটায় ক্রয়কৃত জমি দখলে নিতে হয়রানি, থানায় অভিযোগ
Next Article আজ কবি নাঈম নাজমুলের জন্মদিন
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দিনপঞ্জি

August 2025
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
« Jul    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
জাতীয়তাজা খবর

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন, তফসিল ডিসেম্বরে

By স্টাফ রিপোর্টার 9 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সুন্দরবনে জানা-অজানা বিভিন্ন ইতিহাস নিয়ে জানতে হবে নতুন প্রজন্মকে পর্ব ৫৩

By করেস্পন্ডেন্ট 18 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সুন্দরবনের জানা অজানা বিভিন্ন ইতিহাস জানতে হবে নতুন প্রজন্মকে পর্ব ২৯

By করেস্পন্ডেন্ট 2 days ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

জাতীয়তাজা খবর

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন, তফসিল ডিসেম্বরে

By স্টাফ রিপোর্টার 9 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সুন্দরবনে জানা-অজানা বিভিন্ন ইতিহাস নিয়ে জানতে হবে নতুন প্রজন্মকে পর্ব ৫৩

By করেস্পন্ডেন্ট 18 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সুন্দরবনের জানা অজানা বিভিন্ন ইতিহাস জানতে হবে নতুন প্রজন্মকে পর্ব ২৯

By করেস্পন্ডেন্ট 2 days ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?