By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: শ্যামনগরে রাজা প্রতাবের হাম্নান খানা বিলপ্তির পথে
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > শ্যামনগরে রাজা প্রতাবের হাম্নান খানা বিলপ্তির পথে
তাজা খবরসাতক্ষীরা

শ্যামনগরে রাজা প্রতাবের হাম্নান খানা বিলপ্তির পথে

Last updated: 2024/11/25 at 2:19 PM
স্টাফ রিপোর্টার 6 months ago
Share
SHARE

সিরাজুল ইসলাম (শ্যামনগর) সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা শ্যামনগরে ইশ্বরীপুর রাজা প্রতাবের হাফসিখানা রক্ষনা বেক্ষনের ও সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে গেছে। এখানে প্রতি দিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসে রাজা প্রতাবের হাম্নান,হাফসি খানা দেখতে আসেন দেখে যারা ফিরে যায় তাদের মুখে কোনো হাঁসি দেখা যায় না কারন এর বেহাল অবস্থা দেখে দর্শনার্থীরা মনে কষ্ট নিয়ে ফিরে যায়: অজপাড়া গাঁয়ে এ কেমন ইমারত! কয়েক শতাব্দীর শরীরে ক্ষয়রোগের বাসা! প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাঁটানো লোহার দরজাটা কোনো মতে ঝুলে আছে দাঁত বের করে রাখা ইটের দেওয়ালে।
বিলীন হওয়ার হুমকি মেখে যেনো মৃত্যুর দিন গুনছে দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত কোনো বয়সী মানুষ।
কয়েকটা লিকলিকে নারিকেল গাছ তবু সাধ্যমতো পাতা পেতে ছায়া দিয়ে আগলে রাখতে চাইছে ইতিহাস আর ঐতিহ্যমণ্ডিত ভবনটাকে।দায় যেনো সবটা তাদেরই। সংরক্ষিত স্থাপনার সাইনবোর্ড পেতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের করিৎকর্মা বিশিষ্টজনেরা সেই যে গেছেন তার পর তাদের আর ছায়াও দেখেনি কেউ।
তাদের সেই সাইনবোর্ডের অবস্থা যেনো বয়সী এই ভবনের চেয়েও করুণ। ঈশ্বরীপুর হাম্মামের মাঝের কক্ষের দেওয়ালে কুলুঙ্গি ও স্তম্ভ
বাড়ির আড়ালে বলে ছোট্ট রাস্তাটার মোড় থেকে সহজে নজরে আসে না ঈশ্বরীপুরের এই হাম্মাম।সর্বশেষ জাতীয় আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিনোদন খেলা স্বাস্থ্য তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা চট্টগ্রাম প্রতিদিন
ঈশ্বরীপুর (শ্যামনগর, সাতক্ষীরা) ঘুরে: অজপাড়া গাঁয়ে এ কেমন ইমারত! কয়েক শতাব্দীর শরীরে ক্ষয়রোগের বাসা! প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাঁটানো লোহার দরজাটা কোনো মতে ঝুলে আছে দাঁত বের করে রাখা ইটের দেওয়ালে।
বিলীন হওয়ার হুমকি মেখে যেনো মৃত্যুর দিন গুনছে দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত কোনো বয়সী মানুষ।
কয়েকটা লিকলিকে নারিকেল গাছ তবু সাধ্যমতো পাতা পেতে ছায়া দিয়ে আগলে রাখতে চাইছে ইতিহাস আর ঐতিহ্যমণ্ডিত ভবনটাকে।
দায় যেনো সবটা তাদেরই। সংরক্ষিত স্থাপনার সাইনবোর্ড পেতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের করিৎকর্মা বিশিষ্টজনেরা সেই যে গেছেন তার পর তাদের আর ছায়াও দেখেনি কেউ।
তাদের সেই সাইনবোর্ডের অবস্থা যেনো বয়সী এই ভবনের চেয়েও করুণ। ঈশ্বরীপুর হাম্মামের মাঝের কক্ষের দেওয়ালে কুলুঙ্গি ও স্তম্ভ
বাড়ির আড়ালে বলে ছোট্ট রাস্তাটার মোড় থেকে সহজে নজরে আসে না ঈশ্বরীপুরের এই হাম্মাম।

কিন্তু ঠিকঠাক খুঁজে নিয়ে সামনে এসে দাঁড়ালেই বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতে হয়। যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজধানী তো এখানেই ছিলো।
ধুমঘাট থেকে এই ঈশ্বরীপুর পায়ে হাঁটা পথই তো। বংশীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে পূর্ব দিকে মাত্র ১ কিলোমিটার এগুলেই শাহী মসজিদের পরই এই হাম্মাম।
ঈশ্বরীপুরের এই হাম্মাম মূলত রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজকীয় অতিথিশালার অংশ বিশেষ। স্থানীয়ভাবে হাবসিখানা বা জেলখানা নামেও পরিচিতি আছে এর। তবে নির্মাণ রীতি ও কৌশলে এটিকে হাম্মাম বা গোসলখানা ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই। ঈশ্বরীপুর হাম্মামে গম্বুজের শীর্ষভাগে আলো প্রবেশের ছিদ্রপূর্ব-পশ্চিমে এই হাম্মামের দৈর্ঘ্য সাড়ে ৫০ ফুট। প্রস্থ ২১ থেকে ২৩ ফুটের মধ্যে। পূবের প্রশস্ততা পশ্চিমের চেয়ে একটু কমই হবে। এর পশ্চিমে দেওয়াল ‍প্রায় সাড়ে ৩ ফুট পুরু। বাকিগুলো সোয়া দুই ফুট করে।

হাম্মামটিতে মোট কক্ষ ৩টি। পশ্চিমেরটি অপেক্ষাকৃত বড়। বর্গাকৃতি এ কক্ষের প্রতিটি বাহু সাড়ে ১৭ ফুট করে লম্বা। এ কক্ষেই হাম্মামে প্রবেশের পথ। উত্তর ও দক্ষিণে গড়া দুটো পথই খিলানযুক্ত। উচ্চতায় ৯ ফুট। ছাদের ওপর থেকে ঈশ্বরীপুর হাম্মামএ কক্ষের উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ালে ২টি করে ৪টি চতুর্কেন্দ্রিক খিলানযুক্ত কুলুঙ্গি। কক্ষটির ভেতরের অংশ ৪টি বর্গাকার পিলারে মোট ৯টি অংশে ভাগ হয়ে আছে। মেঝেতে বড় আকারের গর্ত হা মেলে ‍আছে।

দ্বিতীয় কক্ষটিও বর্গ‍াকার। পশ্চিমের কক্ষ থেকে এ কক্ষে প্রবেশের পথও পশ্চিমে। এখানে নির্মিত ৩টি খিলানযুক্ত জানালা পাশের কক্ষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের কাজ করছে। এ কক্ষের দেওয়ালে কুলুঙ্গির সংখ্যা ৮টি। উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ালের কুলুঙ্গি বড় আকারের। প্রথম কক্ষের মতোই চার পিলারে এ কক্ষেরও ভাগ ৯টি। ঈশ্বরীপুর হাম্মামের মাঝের কক্ষপুবের কক্ষটি অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের। তবে অপর দু’টির মতো বর্গ নয়, এটি লম্বাটে আয়তাকার। এ কক্ষ আবার ৩ অংশে বিভক্ত। মাঝেরটি তুলনামূলক বড়। তবে তিনটির মেঝেতেই ৩টি গর্ত। মাঝেরটি বেশি গভীর। অনুচ্চ দেওয়াল তুলে তিন কক্ষকে পৃথক করা হয়েছে।

উত্তর ও দক্ষিণের বিস্তৃত দেওয়ালের গায়ে বেশ কিছু ছিদ্র আছে। এগুলো দিয়ে পানি সরবরাহ করা হতো বলে ধারণা করা হয়। কোনো কোনো ছিদ্রের দেওয়ালে পোড়ামাটির নলের চিহ্নও চোখে পড়ে।

ছাদের উপরে দু’টো গম্বুজ অবশিষ্ট। গম্বুজের শীর্ষভাগ ও আশপাশে চোঙ্গার মতো সরু ফুটোতে আলো প্রবেশের ব্যবস্থা। গম্বুজের নিচের দিকে কুইঞ্চের খিলানগুলো অভিক্ষিপ্ত হয়ে স্তম্ভের সঙ্গে মিশে গেছে। প্রতিটি স্তম্ভের এ অংশে ফুলের মোটিভ বসানো। এই ফুল কিছুটা মোচাকৃতির। ঈশ্বরীপুর হাম্মামের পূর্ব দিকের কক্ষের মাঝের ছোট খুপরিতে কূপমূল দালানের মধ্যে কয়েকটি কুঠুরি ও পানি সরবরাহের জন্য নল সদৃশ পাকা ছোট নালা পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মিত। পূর্ব দিকের ঘরের মধ্যভাগে পাথর দিয়ে পানি গরম করার ব্যবস্থা ছিলো। পাকা নলে ভেতরে সব কক্ষে সরবরাহ হতো সেই পানি। চৌবাচ্চার মুখে ঢাকনা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হতো পানির তোড়।

মুসলিম সংস্কৃতিতে এমন হাম্মামের ধারণা এসেছে রোমান সাম্রাজ্য থেকে। মধ্যযুগে বিভিন্ন স্থানে হাম্মামের যে পরিচয় পাওয়া যায় তাতে আকার প্রকারে ভিন্নতার পরিচয় মেলে। মসজিদ আর সরাইখানার সঙ্গে সাধারণত এমন হাম্মাম গড়া হতো। যদিও নদী তীরবর্তী স্থানে হাম্মাম গড়া হতো বেশি।
পুরুষ ও নারীদের পৃথক হাম্মাম, কখনো একই হাম্মামে পুরুষ ও নারী পৃথক সময়ে ব্যবহার করতেন। ঈশ্বরীপুর হাম্মামে দক্ষিণ দিকের প্রবেশ দরজাগোসল ও শৌচকর্ম ছাড়াও ধর্মীয় আর সামাজিক কল্যাণের সঙ্গেও ছিলো হাম্মামের সম্পর্ক। খৎনা, বিয়ে ও অন্যান্য সামাজিক উপলক্ষ ধরে হাম্মামে যাওয়ার চল ছিলো।
হাম্মাম কখনো কখনো দরবার হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বাদশাহ জাহাঙ্গীর তার হাম্মামের মধ্যে দরবার বসাতেন। কফি পান, বিশ্রাম, শৌচকর্ম, নামাজ ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হতো বিভিন্ন অংশ। তবে এ হাম্মামে আলো ও আসন ব্যবস্থা না থাকায় এটিকে কেবল গোসলখানা হিসেবেই ব্যবহার করা হতো বলে ধারণা করা যায়।
হাম্মামের কাছে গড়া অতিথিশালার কোনো চিহ্ন এখন আর অবশিষ্ট নেই। কখনো যে এমন কিছু এখানে ছিলো তা অনুমান করাও কষ্টকর। ১৯৮০/৮২ সালের দিকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে কিছুটা সংস্কার হাম্মামে।

- Advertisement -
Ad imageAd image
- Advertisement -
Ad imageAd image
স্টাফ রিপোর্টার November 25, 2024
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article লোহাগড়ায় যুবককে কুপিয়ে জখম
Next Article মাদারীপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনে বাঁধা দেয়ায় বোমা নিক্ষেপ: আহত ৩
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দিনপঞ্জি

June 2025
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
« May    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
সাতক্ষীরা

তালায় সেবা বিষয়ে লবি মিটিং

By করেস্পন্ডেন্ট 3 minutes ago
জাতীয়

ময়মনসিংহে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু

By করেস্পন্ডেন্ট 12 minutes ago
রাজনীতি

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল

By করেস্পন্ডেন্ট 13 minutes ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

সাতক্ষীরা

তালায় সেবা বিষয়ে লবি মিটিং

By করেস্পন্ডেন্ট 3 minutes ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

গুমের সাথে জড়িতদের বিচার দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

By করেস্পন্ডেন্ট 19 minutes ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় ছাত্র-ছাত্রীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে বিপাকে শিক্ষক

By করেস্পন্ডেন্ট 31 minutes ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?