সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইটভাটার মাটি, বালু ও ইট বহনকারী ডাম্পার, ট্রাক্টর (টলি) ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত অবৈধ যানবাহন। এতে একদিকে নষ্ট হচ্ছে সড়ক, অন্যদিকে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। হচ্ছে শব্দদূষণ। বাতাসে ওড়া ধুলাবালুর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। বাড়ছে ঝুঁকি।
প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের অবৈধ যানবাহন চলাচল করলেও অদৃশ্য কারণে প্রশাসন আছে নীরব। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ নাগরিকরা। প্রশাসনের কাছে এসব গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত মাটি, বালু ও ইটবাহী ডাম্পার, ট্রাক্টর, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়ি চলছে। মাটি, ইট ও বালুবাহী অতিরিক্ত ওজনের এসব গাড়ির কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা পাকা সড়কগুলোর কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ছে জনদুর্ভোগ। ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব যানবাহন চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।
স্থাানীয় বাসিন্দারা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে প্রতিনিয়ত অবৈধ যানবাহন চলাচল করে। আমরা শুনেছি এসব অবৈধ যানবাহন থেকে প্রশাসন নিয়মিত অবৈধ সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ কারণে বন্ধ করা যাচ্ছে না অবৈধ যানবাহন।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও পরিবেশকর্মী গাজী আল ইমরান বলেন, ইটভাটার মাটি, বালু ও ইট বহনের ডাম্পার, ট্রাক্টরের চাকায় কোটি কোটি টাকার সড়ক নষ্ট হচ্ছে। শব্দদূষণ ও ধুলাবালুর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। প্রাণহানিও ঘটছে প্রতিনিয়ত। এসব যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রনি খাতুন বলেন, অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসনের মাসোহারা গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, অবৈধ যানবাহনকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।