সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কালিঞ্চী গ্রামের প্রধান সড়কটি এখনও কাঁচা অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত এই সড়কটি যেন গ্রামবাসীর দুর্ভোগের প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। হাঁটুসমান কাদা ও জলাবদ্ধতা পেরিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই রাস্তায় পা ফেললেই পিচ্ছিল কাদায় পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে হয় মারাত্মক কষ্ট করে। অ্যাম্বুল্যান্স তো দূরের কথা, মোটরসাইকেল কিংবা বাইসাইকেলও ঢুকতে পারে না রাস্তায়। অনেক সময় রোগীকে খাটিয়ায় করে গ্রাম থেকে বের করতে হয়, যা রোগীর অবস্থা আরও সংকটাপন্ন করে তোলে। শুধু রোগী পরিবহন নয়, চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থী ও কৃষকদেরও। কালিঞ্চী গ্রামের শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই রাস্তাটি দিয়েই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে।
বর্ষায় রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে পড়ায় অনেকেই স্কুলে যেতে পারে না। এতে পড়াশোনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। অন্যদিকে, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান, সবজি ও মাছ সময়মতো বাজারে নিতে না পেরে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী রাস্তায় ফসল বা মাছ মাঠেই থেকে যায়, নষ্ট হয় কিংবা কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন তারা।
স্থানীয়রা জানান, একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানানো হলেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে দিন দিন হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর মধ্যে। এলাকাবাসীর দাবি, একটি পাকা রাস্তা শুধু যাতায়াতেরই নয়, বরং শিক্ষা, চিকিৎসা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম। তারা আশা করছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে কালিঞ্চী গ্রামের প্রধান সড়কটি পাকাকরণে পদক্ষেপ নেবেন। এ ব্যাপারে এই প্রতিবেদকের কথা হয় সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার জনবান্ধব কর্মদক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি খাতুন এর সাথে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান বিষয়টি আমার নজরে এসেছে বরাদ্দ আসলে ওই রাস্তাতেই আপাতত ঈদের সেলিম করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত