সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নীলডুমুর বাজার সংলগ্ন খোলপাটুয়া নদীর পাড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনে নদীর প্রবল স্রোতের কারণে পাড় ভেঙে বসতবাড়ি, দোকানপাট নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (১৩জুন) বিকালে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, নীলডুমুর বাজার সংলগ্ন খোলপাটুয়া নদীর পাড়ে বেশ কিছু অংশ জুড়ে ভেঙতে শুরু করেছে।স্থানীয় দোকানে ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েক বছর আগে নীলডুমুর বাজার সংলগ্ন খেয়াঘাটের, ঘাটসহ কয়েকটি দোকান নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়।এরপরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় ব্লক দেওয়ার পর ভাঙন রোধ হয়।তবে গত কয়েক দিন ধরে বেশ কিছু অংশ নিয়ে আবারও ভাঙন সৃষ্টি হয়ে নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে।বাজারের একাংশ নদীর কিনার ঘেঁষে অবস্থিত হওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র উদ্বেগ ও আতঙ্ক। আশপাশের কয়েকটি ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো,নৌ থানা, স্কুল, কলেজ বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়ানসহ শতশত মৎস্য ঘের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, প্রতিবছরই কিছু না কিছু ভাঙে, কিন্তু এবার যেভাবে নদী খেয়ে নিচ্ছে, তাতে আমরা খুব ভয় পাচ্ছি। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে বাজারটাই হারিয়ে যাবে।ভাঙন বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সংশি¬ষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছি।এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা ওই স্থানে মাফ জরিপ করেছি, এবং ভাঙ্গন স্থানে বালু ভর্তি জিও বস্তা ফেলানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলা ও খোলপাটুয়া নদীরতীর সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি এলাকাবাসী জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মাৎ রনি খাতুন এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি অতি দ্রুতই ব্যবস্থা হয়ে যাবে।