
চারটি পদ শূন্য: নেই নিরাপত্তাকর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী
মোঃ এজাজ আলী : নানা সংকটে আবৃত খুলনার একমাত্র সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল। পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ ভবনের আশপাশের জঙ্গলে চলছে মাদকসেবীদের আসর। সরেজমিনে দেখা যায়, মহানগরীর ফুলবাড়ী গেটস্থ মীরেরডাঙ্গা এলাকায় ১৯৬৮ সালে ভৈরব নদের পাশে নির্মাণ করা হয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালটি। সেখানে জলবসন্ত, হাম, ডায়রিয়া, টিটেনাস, জলাতঙ্ক রোগের জন্য সরকারিভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। তবে দীর্ঘ কয়েক যুগের মধ্যেও সংস্কার করা যায়নি হাসপাতালটি।
দীর্ঘ ৫৪ বছরের পুরাতন এই হাসপাতাল ভবন বর্তমানে পুরোটা জরাজীর্ণ, অযত্ন ও অবহেলায় বনজঙ্গল ও গবাদিপশু গরু-ছাগলের চারণভূমি হিসাবে ব্যবহার করছে স্থানীয়রা। তাছাড়া পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে এক প্রকার অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভবনটি। এছাড়া হাসপাতালটির পরিত্যক্ত আবাসিক ভবন ও জঙ্গলে বর্তমানে মাদকসেবীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়। হাসপাতালটির একতলার মূল ভবনের বাইরের জানালাগুলো ভেঙ্গে বড়-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে গরম মৌসুমে ডায়রিয়াজনিত রোগীর আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। রোগীর চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আকবর হোসেন বলেন, বর্তমানে হাসপাতালটির পরিত্যক্ত আবাসিক ভবনের মধ্যে মাদকসেবীরা নিরাপদে বসে মাদক সেবন করে অথচ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নির্বিকার। খুলনা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের বর্তমান ইনচার্জ মেডিকেল অফিসার ড. হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমান হাসপাতালটিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। প্রথমত চিকিৎসক, নার্স, আউট সোর্সিং কর্মচারী, ওয়ার্ড বয়, আয়াসহ হাসপাতালটিতে বর্তমানে নেই পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল। ছয়টি চিকিসক পদের জন্য রয়েছে মাত্র দুইজন মেডিকেল অফিসার। শূন্য রয়েছে আরো চারটি পদ। নেই নিরাপত্তাকর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী। তাছাড়া এখানে পরিত্যক্ত আবাসিক ভবনে বহিরাগত মাদকসেবীরা প্রবেশ করে মাদক সেবন করে। বিষয়টি আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। পুলিশ রাতে টহল দেয়। বর্তমানে হাসপাতালটিতে কোন আউট সোর্সিং কর্মচারী নেই। হাসপাতালটি চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমি ছোট অফিসার কি করতে পারি। এ ব্যাপারে খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি। এখানে হাসপাতালটির কিছু জমিও বেদখল আছে। তবে এ ব্যাপারে দ্রুত একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।