দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে এখন খুলনা বিভাগ শীর্ষে। আর ঢাকায় এখন দেশের সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে। সীমান্তপথে অবৈধভাবে যাতায়াতকারীদের মাধ্যমে দেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বমোট ১৮ হাজার ৫৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ৪৫৪ জন রোগী শনাক্ত হয়। দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে খুলনায় সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ঢাকা বিভাগে সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৬ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়া রংপুরে ২৬ শতাংশ, ময়মনসিংহে ১৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ, ময়মনসিংহ ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ, বরিশালে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৮ হাজার ৫৩৬টি নমুনায় ৪৮০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুই হাজার ৩৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৭০ জন, রাজশাহী বিভাগে তিন হাজার ৯৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৮২ জন, রংপুর বিভাগে ৫০৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩১ জন শনাক্ত হয়। এছাড়া খুলনা বিভাগে এক হাজার ৭২৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৯৯ জন, বরিশাল বিভাগে ৩২৩টি নমুনা পরীক্ষায় ২৭টি এবং সিলেট বিভাগে ৫০৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৭১ জন রোগী শনাক্ত হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮ বিভাগে সর্বমোট ৪৩ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ ও নারী ১৩ জন। মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৬ জন এবং বাসায় একজন মারা যান।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ৩২ জনে দাঁড়াল।
বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রাম ১০ জন, খুলনা সাতজন, বরিশাল দুইজন, রংপুর চারজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়। এ সময়ে সিলেট বিভাগে কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি।