জন্মভূমি ডেস্ক : চীন সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত পূর্ব এশিয়ার দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বঙ্গভবনে আজ বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের জানান, ওই তারিখের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে শিগগিরই তফসিল ঘোষণা করা হবে।
একই দিন রাজধানী বনানীর একটি হোটেলে ‘বিআরআইয়ের ১০ বছর: পরবর্তী সোনালি দশকের সূচনা’ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে চীনের অবস্থান ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) ও ঢাকার চীনা দূতাবাস আয়োজিত সেমিনারে ইয়াও ওয়েন বলেন, সংবিধান ও আইন অনুযায়ীই বাংলাদেশের নির্বাচন চায় চীন। ওই নির্বাচন নিয়ে বাইরের কোনো দেশের হস্তক্ষেপ চায় না দেশটি।
তিনি বলেন, চীন অন্য দেশে হস্তক্ষেপ করে না। বাংলাদেশের জনগণই নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।
নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চীনের দূত বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশিরাই সিদ্ধান্ত নেবে।
ওই সময় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
‘আমাদের নীতি পরিষ্কার’
কী ধরনের নির্বাচন প্রয়োজন, তা বাংলাদেশ জানে মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের নীতি খুবই পরিষ্কার। আমরা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না।
‘আমরা আশা করি আগামী নির্বাচনের পরও বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা থাকবে এবং আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বলতে পারবে। চীন বাংলাদেশের সমাজে স্থিতিশীলতা চায়।
মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন, বাংলাদেশ, মিয়ানমার মিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গারা এ দেশে অতিথি হিসেবে এসেছে। তাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থনও প্রয়োজন। চীন দেখতে পাচ্ছে, অনেকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চায় না।
অনুষ্ঠানে চীনা উদ্যোক্তাদের সংগঠন সিইএবির প্রেসিডেন্ট কে চেংলিয়াং বাংলাদেশে দেশটির বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েসও।