জন্মভূমি ডেস্ক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে হবে কিংবা এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে জাতিসংঘ বা বাইরের কোনো দেশের চাপ নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এ ব্যাপারে কোনো প্রস্তাবও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পায়নি বলে জানান তিনি।
আজ রবিবার (১১ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংলাপ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি গত নয় বছরে এ ধরনের কোনো বৈঠকে ছিলাম না বা আমাকে কেউ বলেনি। নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাকে এ ধরনের (সংলাপে বসার) প্রস্তাবনা কেউ দেননি বা নির্বাচনকালীন সরকারে বর্তমান সংবিধানের বাইরে অন্য কোনো কাঠামোর ধারে-কাছের কোনো সাজেশনস কেউ দেয়নি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, রাজনৈতিক নেতারা এটা নিয়ে (সংলাপ) কেন বলছেন, এটা আমার জানা নেই। কিন্তু কোনো রাষ্ট্র থেকে বা আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে এ বিষয়ে (সংলাপ) চাপে থাকা তো দূরের কথা, কোনো প্রস্তাবনাও পাইনি।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু জানান, জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হতে পারে। তার এই বক্তব্য বাস্তব প্রেক্ষাপটের সঙ্গে মিলছে না বলে জানান শাহরিয়ার আলম। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচনার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোনো কনফ্লিক্ট জোন না। তবে নির্বাচনের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে কাজ করা হচ্ছে।
পাইলট প্রকল্পের অধীনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিরোধিতা করার কোনো কারণ দেখছেন না জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি একটি ট্রায়াল এবং এর মাধ্যমে খুব ছোট আকারে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য রোহিঙ্গাদের রাখাইনে পাঠানো হবে। সেখানে অস্বস্তিবোধ করলে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি একটি ট্রায়াল হচ্ছে এবং এটি বড় ধরনের কোনো প্রত্যাবাসন নয়। এটি যদি সফল না হয়, তাহলে আমরা তাদেরকে ফেরত নিয়ে আসতে পারব। সেক্ষেত্রে এটির বিরুদ্ধে যাওয়ার আমরা কোনো যুক্তি দেখি না।
চার রোহিঙ্গা পরিবারকে জাতিসংঘের খাবার না দেওয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক যে, যাদেরকে ওই ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল, তারা জাতিসংঘ থেকে খাবার পায়নি। আশা করি, জাতিসংঘের সদর দফতর এটি নজরে নেবে। এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা যেন না ঘটে, সেটি অবশ্যই জাতিসংঘ দেখবে।
প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, জেনেভায় ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৩ জুন সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছেন। এই সামিটে বাংলাদেশের লক্ষ্য ইউরোপসহ বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত সুবিধা আদায়ের প্রেক্ষাপট তৈরি করা।