বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি শিক্ষাটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটা দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। সরকার যে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে সেখানেও অনেক ‘টেকনিক্যাল হ্যান্ডস’ প্রয়োজন হবে, তাই দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করতে পারলে তারা আমাদের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখতে পারবে।
শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও আর্থিক অনুদান বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।
প্রতি জেলায় একটি করে সরকারি বা বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় করা হচ্ছে। সরকার সব জেলা পর্যায়ে বিশ^বিদ্যালয় করে দিচ্ছে। এতে ছেলেমেয়েরা নিজ বাড়ি থেকে পড়াশোনা করতে পারবে। টেক্সটাইল, ডিজিটাল, মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়, ফ্যাশন ডিজাইন বিশ^বিদ্যালয় থেকে শুরু করে আধুনিক যুগে কী কী ধরনের বিষয় লাগে, সেদিকে লক্ষ রেখেই বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। মেরিটাইম বিশ^বিদ্যালয়, সিভিল অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ^বিদ্যালয় অর্থাৎ যে এলাকায় যে সাবজেক্ট বা যে ধরনের শিক্ষার গুরুত¦ বেশি, সেভাবে করে দিচ্ছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি, আমার ছোটবোন (শেখ রেহানা) আমরা পৈতৃক সম্পত্তি বা টাকা-পয়সা যা পেয়েছিলাম সেটা দিয়ে আমরা একটা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করি। এই ফান্ডে আমাদের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের বৃত্তি দিয়ে থাকি। একেবারে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত। প্রায় ১৪০০ থেকে ১৫০০ শিক্ষার্থীকে আমরা বৃত্তি দিই।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আধুনিক উন্নত বিশে^র সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে বাংলাদেশ। আইসিটি খাতকে সরকার গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে। বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পেশাজীবী এবং ১০ হাজার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা স্বনির্ভর হয়েছে। তারা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে আইসিটি খাতের আয় ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার, যা আজ ৬০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বর্তমান প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত থাকলে আইসিটি খাতে ২০২১ সালের মধ্যে বিপুল অর্থ আয় করবে দেশ। বিশ^মানের তথ্য ও প্রযুক্তি অবকাঠামো, সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করতে সরকার ক্রমান্বয়ে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করছে। সীমাহীন আত্মবিশ^াস আর বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশের নতুন পরিচয় নির্মাণ করেছিলেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নত দেশ হিসেবে বিশে^ আরও মাথা তুলে দাঁড়াবে, সে প্রত্যাশা আমরা রাখছি।