জন্মভূমি ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, খেলার মাঠ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের নামকরণ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে চায় সংসদীয় কমিটি। এ লক্ষ্যে একটি নীতিমালা তৈরি করার সুপারিশ করেছে কমিটি। রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ আসে।
জানা গেছে, কমিটি এর আগের বৈঠকে সারা দেশে কতগুলো সড়ক, সেতু ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের নামকরণ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে রয়েছে তার তথ্য চেয়েছিল। পাশাপাশি সড়ক, সেতু ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামকরণ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করার সুপারিশ করেছিল। কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি দিয়ে তালিকা দিতে বলেছে। গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ‘মুক্তিযোদ্ধার তালিকা’ ও ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ নিয়ে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান মিন্টুর মন্তব্য নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার উপজেলায় ১৫ থেকে ২০ জন মুক্তিযুদ্ধ করলেও এখন ভাতা পাচ্ছেন ৬১২ জন বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে অবশ্য তিনি ওই বক্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উত্থাপন করেন চাঁদপুর-৩ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম। এমন বক্তব্যে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভের কথা কমিটির কাছে উপস্থাপন করেন। কমিটি জানায়, বিভিন্ন জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অনেক কটূক্তি এবং অশোভন আচরণ করা হচ্ছে, এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান হল মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের নিয়ে কটাক্ষ করে কথা বলা নিন্দনীয়। পরে সংসদীয় কমিটি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটাক্ষ করে বক্তব্য না দেওয়ার সুপারিশ করে।
বৈঠকে রাজধানীর কাকরাইলস্থ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মালিকানাধীন জমিটি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করার জন্য সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এবং কাজী ফিরোজ রশীদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।