বিজ্ঞপ্তি : খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শুক্রবার সকাল ১০টায় সদর থানা বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। থানা সাংগঠনিক টিম প্রধান চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে হাসানুর রশিদ মিরাজ ও শেখ সাদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় শেষ। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে, কখন কি হয় বলা যায় না। অবিলম্বে পদত্যাগ না করলে করুন পরিনতি হবে। পুলিশ ও শাসক দলের ক্যাডার দিয়ে গণতন্ত্র মুক্তিকামী বিএনপির নেতাকর্মীদের আর দমিয়ে রাখা যাবে না। দেশের জনগণ এদেরকে প্রতিরোধ করতে মাঠে নেমে পড়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম। উদ্বোধন করেন মহানগর আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা। প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। বিশেষ বক্তা ছিলেন যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম জহীর। সভায় বক্তব্য রাখেন কে এম হুমায়ুন কবীর, বিএম তানভীরুল আজম, আব্দুর রাজ্জাক, মোল্লা ফরিদ আহমেদ ও খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক।
কর্মীসভা শেষে বেলা আড়াইটায় দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বেগম রেহানা ঈসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে সদর থানার ৯টি ওয়ার্ডের ২৭৯ জন কাউন্সিলরের ভোট শুরু হয়। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ি টানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ভোট শেষে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে ভোটের ফলাফলে আহবায়ক পদে ১৬৩ ভোট পেয়ে কেএম হুমায়ুন কবীর নির্বাচিত হয়। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন বিএম তানভীরুল আজম। তিনি পেয়েছেন ৮৮ ভোট। সদস্য পদে মোল্লা ফরিদ আহমেদ ১৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক পেয়েছেন ৯৭ ভোট। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এড. নুরুল হাসান রুবা, এড. মোল্লা মাসুম রশীদ, এড. তৌহিদুর রহমান তুষার, মিজানুর রহমান মিলটন, জাকির ইকবাল বাপ্পি, শরিফুল ইসলাম টিপু, শাহানাজ সরোয়ার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।