যশোর অফিস : যশোরে যমজ সন্তান জন্ম দেওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন নারী মাহিনুরকে (৩৫) নিয়ে বিপাকে পড়েছে প্রশাসন। দু’দিন অনুসন্ধানের পর তার স্বজনদের সন্ধান পাওয়া গেলেও তারা মাহিনুরের দায়িত্ব নিয়ে নারাজ। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় হাসপাতালেও তিনি অসংলগ্ন আচরণ করছেন। ফলে প্রসূতি ও দুই নবজাতককে নিয়ে তারাও আছেন বিড়ম্বনায়। দু’একদিন অপেক্ষা করে আদালতের নির্দেশনা নিয়ে মা ও দুই নবজাতকের ব্যাপারে পদক্ষেপের কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।
গত ৩ সেপ্টেম্বর যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগ্রাম ইউনিয়নের নতুন গ্রামের জামিরুল ইসলামের খড়ের ঘরে যমজ সন্তান প্রসব করেন মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী। পরে গৃহকর্তা জামিরুল ওই নারীকে বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এরপর থেকে মা ও দুই নবজাতক যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে গত ৩ সেপ্টেম্বর ওই নারীকে যশোর হাসপাতালে আনার পর তার পরিচয় শনাক্তে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দু’দিন পর পিবিআই তার পরিচয় উদ্ধার করে। জানা যায়, ওই নারীর নাম মোসাম্মৎ মাহিনুর। তিনি খুলনার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের চান্দু মিয়ার মেয়ে। এরপর পিবিআই ওই ঠিকানার সূত্র ধরে বারাসাত গ্রামে যোগাযোগ করে। সেখানে মাহিনুরের এক চাচার সন্ধান পাওয়া যায়। তাদের মাধ্যমে জানা যায়, মাহিনুরের মা জাকিয়া বেগম ও ছোটভাই হাসিবুর রহমান লিপ্টন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মাথাভাঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করেন।
পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানিয়েছেন, পরিচয় ও ঠিকানা শনাক্তের পর তারা নড়াইলের কালিয়ায় ওই নারীর ছোটভাই হাসিবুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মাহিনুরের পরিচয় নিশ্চিত করলেও তারা মাহিনুর বা তার সন্তানের দায়িত্ব নিতে রাজি না। এমনকি তারা যশোরে আসতেও রাজি হননি।
সমাজসেবা অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক অসিত কুমার সাহা জানিয়েছেন, মাহিনুরের যে ভাইয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে তারা কোনো দায়িত্ব নিতে চায় না। ফলে মাহিনুর ও তার দুই সন্তান নিয়ে আদালত ও জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত