জন্মভূমি ডেস্ক : বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন কে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল জেলে অন্য নেতারা পালিয়ে, তাহলে বিএনপির কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবে কে?
আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের দলীয় সংসদ সদস্য এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের আজ যৌথসভা ডাকা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব জেলে। এছাড়া তাদের সব নেতা পালিয়ে আছে। তাদের খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে বিএনপির অবরোধের নেতৃত্ব দেবে কে?।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অবরোধের সঙ্গে পাল্টা কোনো কর্মসূচি দেবে না সরকার। পূর্বঘোষিত শান্তি সমাবেশ অব্যাহত থাকবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ। আমাদের নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যে স্পিরিট ছিল এটা থাকলে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত।
নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপিবিহীন নির্বাচন করব সেটা আমরা চাই না। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তবে কে এলো, না এলো তার জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। যারা নির্বাচন চায়, তারা কখনো এমন সংঘাতের পথ বেছে নিতে পারে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে বলছে তারা সমাবেশে করলে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ করে। আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ করে না। শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে, বিএনপির নেতারা বলছে তারেক রহমান ভুয়া, ফখরুল ভুয়া। কেউ কেউ কান ধরে দলে ছাড়া কথা বলছে। বিএনপির সব কিছু ভুয়া।
পুলিশ সদস্যের হত্যার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন পুলিশ সদস্যকে কীভাবে হত্যা করছে। এটা দেখুন। কত ভয়ংকর তারা। এটাই হলো তাদের আসল চেহারা। গাজায় যা হচ্ছে তার চেয়েও ভয়ংকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সাংবাদিকদের ওপর হামলা করছে কিন্তু এটা কেন? সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি ক্ষেপলো কেন। সাংবাদিক যা দেখে তা লেখে, তাও তাদের চোখে বাধে। যারাই নিরপেক্ষভাবে সংবাদ লেখে তারাই বিএনপির চোখে অপরাধী।
নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ ধৈর্য হারাবেন না। শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সবাই শান্তভাবে ছিল। ২৮ তারিখে রাত দশটার পরে মাঠে ছিলেন। সেদিন আমরা বিজয়ের মতো পরিবেশেই ছিলাম। সামনে নির্বাচন, আমরা বিজয়ের দিকে যাচ্ছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত। আগামী নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয় হয়ে সরকার গঠন করবে। আওয়ামী লীগ বিজয়ী হব।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেকোনো মূল্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারবে না।
নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ চলমান থাকবে।
মনোনয়প্রত্যাশীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, যারাই দলের মনোনয়ন চাইবে তাদের সকলের আমলনামা শেখ হাসিনার কাছে আছে। তিনি মনোনয়ন দেবেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুরসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।