জন্মভূমি ডেস্ক : হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ডিবি অফিসে যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাবেন, তারপর খাবার টেবিলে বসাবেন। এভাবে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না।’
আজ সোমবার (২৯ জুলাই) রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, ডিবি অফিসে যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাবেন, তারপর খাবার টেবিলে বসাবেন। এভাবে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না।
এর আগের দিন রোববার সমন্বয়কদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে নাশতা করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। নাশতা করার কয়েকটি ছবি পোস্টও করেন ডিবি প্রধান।
ছবিগুলোর ক্যাপশনে ডিবি প্রধান লেখেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সঙ্গে কথা বললাম।’
এর আগে নিরাপত্তার কথা বলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে গত ২৬ জুলাই হাসপাতাল থেকে মিন্টো রেডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরদিন ২৭ জুলাই সারজিস, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও নেওয়া হয় ডিবি হেফাজতে।
এর পরদিন ২৮ জুলাই ডিবি কার্যালয়ে তাদের খাওয়ানো হয়। সেই খাওয়ানোর ছবি পোস্ট করে ডিবি প্রধান আরও লেখেন, ‘কী কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে! ওদের কথা শুনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের নানা পরিকল্পনার কথা জানানোর পর তাদের উদ্বেগ দূর হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিম ডিবি ডিএমপি বদ্ধপরিকর।’