
জন্মভূমি ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসা নীতি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপরও প্রয়োগ হতে পারে বলে সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যে মন্তব্য করেছেন, তাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর চাপ বলে মনে করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, পিটার হাসের বক্তব্য গণমাধ্যমের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপের শামিল। এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর বরখেলাপ।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘ভিসা নীতির নামে সংবাদমাধ্যমে মার্কিন চাপের প্রতিবাদ’ শীর্ষক এক সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন। এ সমাবেশের আয়োজক ‘জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট’ নামের একটি সংগঠন। সমাবেশটি প্রথমে প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে শুরু হয়। তবে বৃষ্টির কারণে পরে সমাবেশটি হয় প্রেস ক্লাবের তিনতলায় অবস্থিত আবদুস সালাম মিলনায়তনে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও দৈনিক অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীন ভূমিকা ও মর্যাদা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণমাধ্যমের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপের শামিল। ভিসা নীতির নামে হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্য স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপরে চাপ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীরও বরখেলাপ।
সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওবায়দুল হক খানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ডিইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সংগঠনের সভাপতি কামরুল ইসলাম, সদস্য সচিব সাহিন বাবু, সিনিয়র সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান, আবু সাঈদ।
গত ২৪ মে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘোষণার প্রায় চার মাস পর গত ২২ সেপ্টেম্বর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ শুরু হয়েছে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, গণমাধ্যমও মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় আসতে পারে।

