
জন্মভূমি ডেস্ক : মহেশখালীর গভীর সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরীক্ষামূলক খালাস কার্যক্রম সফল হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে তেল খালাস শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশ এ সেক্টরে নতুন যুগে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু তিন দিনের মাথায় পাইপলাইনের ক্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় বহুল প্রতীক্ষিত এই তেল খালাস কার্যক্রম।
তেল খালাস বন্ধ হওয়ার কারণ জানিয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো গত সোমবার সরাসরি জাহাজ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে সমুদ্রের তলদেশ দিয় তেল খালাস শুরু হয়। তিন দিনের মাথায় পাইপলাইনের ত্রুটির কারণে খালাস বন্ধ হয়ে যায়। যা পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়নি।
মো. লোকমান আরও বলেন, পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর পর সাত থেকে ৮ হাজার টন তেল পাইপলাইনে খালাস করা হয়েছিল। এরপর ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বাকি তেল আগের মতো লাইটারেজের মাধ্যমে খালাস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চীনা প্রতিষ্ঠান পাইপলাইনে কী ত্রুটি হয়েছে সেটি নির্ণয় করে সারানোর জন্য কাজ করছে।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, জাহাজ থেকে খালাস হওয়া তেলের চাপে ফুটো হয়ে যায় পাইপলাইন। পাইপলাইনের ত্রুটির কারণে এমনটাই হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাইপলাইন বেয়ে বেশ কিছু তেল সাগরেও মিশেছে। যে কারণে তড়িগড়ি করে তেল খালাস কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গত ২৪ জুন রাতে সৌদি আরব থেকে ৮২ হাজার টন অপরিশোধিত তেল নিয়ে এমটি হোরাই মহেশখালী গভীর সমুদ্রে পৌঁছায়। ৩ জুলাই সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের (এসপিএম) সঙ্গে সৌদি আরব থেকে আসা জাহাজের সংযোগ ঘটানো হয়। এর মধ্য দিয়ে জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ নতুন দিগন্তে প্রবেশ করে বলেও দাবি করেছিলেন ইআরএল কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল সাংবাদিকদের বলেন, অনেক উন্নত দেশকে টেক্কা দিয়ে গভীর সাগর থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল খালাসের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। ক্রুটি সেরে এটি আবার চালু করা হবে।
প্রকল্প সম্পর্কে জানা গেছে, মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নে উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) স্থাপন করা হয়েছে।