জন্মভূমি ডেস্ক : সম্পত্তির লোভে সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে বাবাকে হত্যা করলো ছেলে। মৃত্যু নিশ্চিতে প্রেশার মাপার মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করেন বাবাকে। পরে সেই হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নাটক সাজান ছেলে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য। হত্যাকাণ্ডে সহযোগী একজনকে গ্রেফতার করলে বেরিয়ে আসে ছেলের সংশ্লিষ্টতা। ছেলে দেশের বাইরে পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম (৭২) স্ত্রীর মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ মাওলা বাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। একমাত্র ছেলে এইচ এম মাসুদ (৪২) স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বাবার সঙ্গে একই বাসায় থাকতেন। বাবার সম্পত্তি বোনদের ভাগ করে দিতে পারে এমন সন্দেহে হয় তার। সব সম্পত্তি নিজে আত্মসাৎ করতে বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পরিকল্পনা মত গত ৩১ জানুয়ারি রাতে স্থানীয় অটোচালক রুবেলের সঙ্গে ৫ লাখ টাকায় বাবাকে হত্যার চুক্তি করে। রাতে অটো চালক নিয়ে বাবাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপরে বাসার আলমারি থেকে ৩২ লাখ টাকা লুট করে। একপর্যায়ে ডাকাতির নাটক সাজাতে ওই অটো চালককে দিয়ে ছেলে নিজের হাত পা বাঁধিয়ে রাখে। নাটক সাজানোর পরিকল্পনা মত ওই ছেলে চিৎকার শুরু করলে অন্য ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়ার গিয়ে তার হাত পায়ের বাঁধন খুলে দেয়। এই ঘটনায় নিহত মুক্তিযোদ্ধার জামাতা বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ সুপার বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অটো চালককে শনাক্তের পর গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য। অটোচালক পিবিআই কে জানে ছেলের সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকার চুক্তিতে দুজনে মিলে হত্যা করেন আব্দুল হালিমকে। অটোচালকের কাছ থেকে ৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও নিহতের বাড়ির পেছন থেকে বাসার সিসিটিভি ফুটেজের বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক ছেলেকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।