ডেস্ক নিউজ : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অবশেষে তা বাড়ানোর সুপারিশ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এ বিষয়ে গঠিত কমিটি। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। সুপারিশ অনুযায়ী, পুরুষের জন্য ৩৫ বছর ও নারীদের হবে ৩৭ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সরকার গঠিত সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী সোমবার (১৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে এই তথ্য দেন। তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স মেয়েদের ক্ষেত্রে ৩৭ বছর এবং ছেলেদের ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। অবসরের বয়সসীমা নিয়ে কোনো সুপারিশ করা হয়নি। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে দেশে সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে সাধারণ কোটায় আবেদন করা যায় আর অবসরে যাওয়ার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৯ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ অন্যান্য কোটার ক্ষেত্রে এ বয়স সীমা ৩২ ও ৬০ বছর নির্ধারণ করে আছে।
এক যুগ আগে ২০১২ সাল থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামে একটি সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। তারা বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে এ নিয়ে তাদের দাবি জানিয়ে আসছিলো।
সবশেষ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর ‘চাকরিতে বয়সের আবেদনসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’ আন্দোলন শুরু করলে সরকার একটি কমিটি করে দেয়। সাবেক উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটির কাজ বিষয়টি যাচাই বাছাই করে সরকারের কাছে সুপারিশ দেয়।
এদিকে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ ও অবসরের বয়স ৬৫ বছর করতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’ গত ৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আবেদন করেছে। এই প্রেক্ষাপটে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সে চিঠি বা প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।