
খান আঃ জব্বার শিবলী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেছিল গ্রামকে শহরের আদলে গড়ে তোলার। আবশেষে এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর হাতের ছোয়ায় সে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। আজ গ্রামীণ অবকাঠামোর দিকে তাকালেই বোঝা যায় গ্রামগুলো শহরের আদলে রুপান্তরিত হয়েছে। রূপসা উপজেলার উন্নয়নের দিকে তাকালেই মনে পড়ে শেখ হাসিনার ঘোষণার কথা। তিনি বলেছিলেন, গ্রাম হবে শহর আজ সে স্বপ্নই বাস্তবে রূপ নিল।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ও প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ীত হচ্ছে উন্নয়নমূলক প্রকল্প। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৬৮টি গ্রাম ও ৪৫টি ওয়ার্ডসহ মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট হাটবাজারের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তাছাড়া জনসাধারণের পানযোগ্য সুপিয় পানির জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে ১০০০টি গভীর নলকূপ ও ৩০০০ লিটারের জলাধার ৮০০টি এবং বিভিন্ন এলাকায় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশুদ্ধ পানির ট্রাংকি নির্মাণ, স্থানীয় সরকারের নির্বাহী অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে ভূমিহীনের জন্য জমিসহ ঘর। এ ব্যপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর থেকে জানা যায়, গত পাঁচ বছরে তারা বিভিন্ন নদনদী ও খালের উপর ৪ কোটি ২৯ লক্ষ্য ৭৩ হাজার ৯২১ টাকা ব্যয়ে ব্রীজ নির্মাণ করেছে ১১টি এবং ৩ কোটি ৮৬ লক্ষ্য ৯১ হাজার ৭৪ টাকা ব্যয়ে এইচ বিবি (ইট) দ্বারা রাস্তা নির্মাণ করেছে ৭০০০ মিটার এবং বীর নিবাস নির্মাণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। রূপসার উন্নয়নের ব্যপারে উপজেলা প্রকৌশলী এস এম অহিদুজ্জামান জানান উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে সমহারে উন্নয়ন কার্যক্রম হয়েছে এবং কিছু কাজ চলমান রয়েছে। নতুন সড়ক উন্নয়ন হয়েছে ২৭৩টি, ১৪২ কিলোমিটার যার নির্মাণ ব্যয় ১৩৩ কোটি টাকা, ৪২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৩৭টি পুরাতন সড়ক মেরামত হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে, ২০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ ও ৩৯টি বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ হয়েছে ২০ কোটি ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে। তাছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন ও সহকারী কমিশনার (ভুমির) কার্য্যালয়ের ভবন নির্মাণ হয়েছে যার নির্মাণ ব্যয় ২ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে। ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি গ্রামীণ বাজারের উন্নয়ন হয়েছে। গ্রামীণ ও সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে ৩১টি যার নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি যাদুঘর, স্মৃতি সৌধ, ইউনিয়ন ভুমি অফিস নির্মাণ ২টি, এছাড়া মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, শশ্মান ঘাটসহ ৩১টি সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। তাছাড়া পুকুর খনন, খাল খনন, ঘাটেলা নির্মাণ, অসচ্ছল মুক্তিযুদ্ধাদের গৃহ নির্মাণসহ অসংখ্য উন্নয়ন কাজ সাধিত হয়েছে। এছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলার আঠারোবাকী নদী ও ভৈরব নদ খননের মত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।
এ ব্যপারে সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেছেন, বাংলার জনগণের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঘোষণা গ্রাম হবে শহর যা বিশ্বের বিরল এক ঘোষণা। আজ তার স্বপ্ন পুরণের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে উন্নত জীবনমান ফিরে এসেছে। গ্রামের কৃষিপণ্য সহজেই ঢাকাসহ দেশের বড়-বড় ফাইকারী ও খুচরা বাজারে বিক্রি করে অধিক মুনাফা অর্জন করছে। এ কারণে আজ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ভীত মজবুত হয়েছে এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠী উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষাবাদের দিকে যুকছে।