
নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ভিন্ন কৌশলে সাংবাদিক নেতা মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে জড়িতে সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তমালতলার নূরপুর চকপাড়া এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ অক্টোবর দৈনিক কালেরকন্ঠসহ একাধিক অনলাইন পোর্টালে তাকে জামায়াত নেতা হিসেবে উল্লেখ করে জমি দখলের অভিযোগে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদে জানানো হয় একই গ্রামের শিখা বেগম তার বিরুদ্ধে ইউএনওর কছে ভিপি জমি দখলের অভিযোগ দেন এবং পরে সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি আরও বলেন, উক্ত জমিটি তার নয় এবং এ জমি দখলের কোনো চেষ্টাও তিনি করেননি। তবে তিনি একসময় জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করতেন। বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সমর্থক। তিনি দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়জিত আছেন এবং বর্তমানে বাংলাদেশ সাংবাদিক উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিভিন্ন সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংবাদ করায় তাকে টার্গেট করে মানহানি করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি
অপরদিকে সংবাদ সম্মেলনে ওই ভিপি জমির মালিক মতিউর রহমান মধু জানান, এই জমিটি (ভিপি) যুগ যুগ ধরে লিজ নিয়ে আমি বসবাস করছি। শিখা ও শামিমসহ কয়েকজনের অত্যাচারে আমি ওই জমি থেকে বাড়ি সরিয়ে পাশে আমার মায়ের জমিতে বসবাস করছি। আমার এই জমিতে গরুর খামার করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলে তারা আমাকে বাধা প্রদান করে এবং হত্যা হুমকি দেন। এনিয়ে আমি বাগাতিপাড়া মডেল থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এরপর তারা আমার নামে এবং প্রতিবেশী মুহাম্মদ কামরুল ইসলামের নামে ভুয়া তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এনিয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সেই শিখা খাতুন এবং শামিম হোসেন বলেন, জমি নিয়ে অনেক ঝামেলা হচ্ছে। কামরুলের নামে অভিযোগ আমরা নিজে থেকে করতে চাইনি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফ আফজাল রাজন বলেন, ভিপি জমি যিনি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী লিজ নিবেন তিনিই ওই জমি ভোগদখল করতে পারবেন। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

