
জন্মভূমি রিপোর্ট : একুশে পদক প্রাপ্ত প্রথিতযশা সাংবাদিক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এক সময়কার থিংক ট্যাংক হিসেবে পরিচিত দৈনিক জন্মভূমি ও দৈনিক রাজপথের দাবী পত্রিকার সম্পাদক হুমায়ূন কবীর বালু হত্যাকাণ্ডের ১৯তম বার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের এই দিনে নিজ অফিসের সামনে একদল ঘাতকের বোমা হামলায় তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় রাষ্ট্র পক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় সকল আসামি খালাস পেলেও ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের মামলায় পাঁচ আসামিকে আদালত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলো, স্বাধীন ওরফে সৈয়দ ইকবাল হোসেন, নজু ওরফে খোড়া নজু ওরফে নজরুল ইসলাম, রিমন ওরফে আসাদুজ্জামান, জাহিদ ওরফে সবুজ ওরফে জাহিদুর রহমান এবং মাসুম ওরফে জাহাঙ্গীর। এদের মধ্যে জাহিদ ওরফে সবুজ উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। অন্য তিন জন খুলনা জেলা কারাগারে থাকলেও মাসুম ওরফে জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছে। সে রূপসা উপজেলার রহিমনগর গ্রামের জনৈক আবু তাহেরের ছেলে। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা উল্লেখ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। এই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গত ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। মামলার নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত রোববার দুপুরে খুলনা জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার ইদ্রিস আলী এই মামলার কয়েদিদের খবর জানতে প্রথমে রিমনকে ডেকে পাঠান। তাকে তখন অন্য একটি মামলার বিচার কাজের জন্য কারাগার থেকে আদালতে নেয়া হয়েছিল। এরপর তিনি আরেক কয়েদি স্বাধীনকে ডেকে পাঠান। সে বলছিল- পলাতক মাসুম বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছে। তবে, কোন দেশ? সেটা সে বলেনি।

