
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সংবাদের ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক মানিক সাহার ২০তম হত্যাবার্ষিকী আজ সোমবার। ২০০৪ সালের এইদিনে খুলনা প্রেসক্লাব থেকে রিকশায় করে আহসান আহমেদ রোডের নিজ বাসায় যাওয়ার সময় ক্লাবের অদূরে চরমপন্থীদের বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
এদিকে সাংবাদিক মানিক সাহার হত্যাবাষির্কী উপলক্ষ্যে সিপিবি, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, উদীচী, রতন সেন পাবলিক লাইব্রেরি, সাংবাদিক সংগঠনসমূহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে খুলনা প্রেসক্লাবের শহীদ সাংবাদিক বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন, স্মরণ ও আলোচনা সভা প্রভৃতি।
হত্যা ও মামলা : সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা ঘটনার রাতেই খুলনা সদর থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক অংশে পৃথক দুটি মামলা হয়। যার বাদী ছিলেন খুলনা থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার পাল। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। দুটি মামলার হত্যা অংশে ৯ আসামি সাজাপ্রাপ্ত হলেও বিস্ফোরক মামলায় সকলে বেকসুর খালাস পান।
২০০৪ সালের ২০ হত্যা মামলায় ১৩জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল হয়। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর এ হত্যা মামলায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেন খুলনার দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এম এ রব হাওলাদার।
অপরদিকে ২০০৭ সালের ১৯ মার্চ একই আসামিদের অভিযুক্ত করে বিস্ফোরক মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। একই বছর এ মামলার অধিকতর তদন্ত শেষে একজন যুক্ত হয়ে আসামি হন ১৪জন।
তবে বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই আসামিদের মধ্যে তিনজন ক্রসফায়ারে মারা যান। পরে ১১ আসামি নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজপ্রাপ্তরা হলেন, সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম ওরফে বোমারু আকরাম, আলী আকবর ওরফে শাওন, সাত্তার ওরফে ডিস্কো ছাতার, বেল্লাল, মিথুন, সরোয়ার ওরফে সরো, সাফায়াত ওরফে শওকত ওরফে সাকা পলাতক। ক্রসফায়ারে নিহতরা হলেন- আব্দুর রশিদ, আলতাফ ওরফে বিডিআর আলতাফ এবং মাহফুজ ওরফে মফিজ ওরফে নাসিম ওরফে শফিকুল ইসলাম। এছাড়া খালাসপ্রাপ্তরা হলেন ওমর ফারুক ওরফে কচি ও হাই ইসলাম।