
বিজ্ঞপ্তি : জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লেও তাদের পরিপক্ক অভিজ্ঞতা পরবর্তী প্রজন্মকে পথ দেখায়। জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের যেহেতু বয়সের কারণে কম কর্মোক্ষম বা সরাসরি উৎপাদনশীল কাজের সাথে নিজেদের হয়তো জড়িত করতে পারেন না, তাই তারা যাতে সৃজনশীল, আনন্দদায়ক, হালকা বা সহজ এবং পাশাপাশি বিশ্রাম নিতে পারেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। জীবন সায়াহ্নে অনেক কিছুর জন্যই এখন সে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে হবে। শুধু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা নয়, পাশপাশি বেসরকারি এবং জনকল্যাণমূলক সংগঠনগুলোকেও সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে যা জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে পারে। এভাবে বললেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সাংস্কৃতিক আড্ডায় বক্তারা।
শনিবার বিকাল ৫টায় গুণীজন স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সাংস্কৃতিক আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। অন্যানদের মধ্যে বক্তৃতা করেন অধ্যক্ষ আওয়াল রাজ, এ্যাডঃ মোমিনুল ইসলাম, গোপী কৃষাণ মৃন্ধড়া, ডাঃ দিদারুল ইসলাম শাহীন, এস এম শাহনেওয়াজ আলী, মাছুদ মাহামুদ, বিধান চন্দ্র রায়, ক্যাপটেন (অবঃ) ডি কে হালদার, সেলিম বুলবুল, মানস রায় , প্রদীপ কুমার দাশ, এস এম সোহরাব হোসেন, এ্যাডঃ সাবিত্রী চক্রবর্ত্তী, আফরোজা জেসমিন বীথি, রিপন বিশ^াস, দিলারা নাসরিন, দেবী প্রসাদ ঘোষ, ধরা দেবী দাস, সৈয়দ আলী হাকিম, জয় কুমার বৈদ্য, এ্যাডঃ খান মনিরুজ্জামান, দীপ কুমার বৈদ্য, লতামন্ডল, অশোক মন্ডল, সাংবাদিক এস এম রাশীদুল আহসান বাবলু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা দাবি করেন, জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের আর্থিক সমস্যা বিবেচনায় এনে গণপরিবহণে আসন সংরক্ষণসহ টিকেট ৪০% অথবা ৫০% রেয়াত; সরকারি- বেসরকারি হাসপাতালে (২০% বা ৪০%) সংরক্ষণ এবং ঔষধ ও পথ্যসামগ্রী পাওয়ার ব্যবস্থা করা; বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হেলপ ডেস্ক ও পৃথক কাউন্টার স্থাপনসহ সরকারি-বেসরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ট্রেনিং সেন্টারে রিসোর্স পার্সন অথবা অতিথি বক্তা হিসেবে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সম্পৃক্ত করার ব্যবস্থা বা পরিকল্পনা নিতে হবে।