ক্রীড়া প্রতিবেদক : টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে দলের হাল ধরেছেন সাকিব-মুশফিক। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মিলে ইতোমধ্যেই পঞ্চম উইকেটে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েছেন। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে টাইগার শিবিরে। একই সঙ্গে শতরানের মাইলফলকও স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। তবে ২০তম ওভারে ফিরতে পারতেন সাকিব। পঞ্চম বলে নাসিমকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। কিন্তু সেটা রাখতে পারেননি নাসিম। ফলে ব্যাক্তিগত ৩২ রানে জীবন পেলেন সাকিব।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৪ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১৬ রান। সাকিব আল হাসান ৪০ আর মুশফিকুর রহিম ৩০ রানে অপরাজিত আছেন।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যান ইন গ্রিনদের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন মেহেদী মিরাজ, এরপর একে একে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস, নাঈম শেখ এবং তাওহীদ হৃদয়। পাকিস্তানি বোলিং তোপে চার টপ অর্ডার ব্যাটারকে চাপে পড়া বাংলাদেশকে এখন পথ দেখাচ্ছে সাকিব-মুশফিক জুটি।
আফগানিস্তান ম্যাচের মত আজও বাংলাদেশের হয়ে নাঈম শেখের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন মিরাজ। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে ইনিংসের সূচনা করেন শাহিন আফ্রিদি। ম্যান ইন গ্রিনদের এই গতিদানবের বল ভালোই সামলেছেন নাঈম। সে ওভারে অবশ্য কোনো রান আসেনি টাইগারদের স্কোরবোর্ডে।
তবে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই বাঁধে বিপত্তি। নাসিম শাহর করা বল ব্লক করতে গিয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু তা ক্যাচ হয়ে চলে যায় ফখর জামানের হাতে। ফলে শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় আগের ম্যাচের এ সেঞ্চুরিয়ানকে।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্রিজে নেমে দারুণ শুরু করেন লিটন দাস। নাসিম শাহ ও আফ্রিদির বল দেখেশুনে খেলতে থাকেন তিনি। এই দুই বোলারকে চারটি বাউন্ডারি হাঁকান এলকেডি। পাওয়ার প্লেতে বড় রানের ভীত যখন গড়ছিল টাইগাররা ঠিক তখনই ইনিংসের পঞ্চম ওভারে দলীয় ৩১ রানে শাহিন আফ্রিদির বলে রিজওয়ানের কাছে ক্যাচ দিয়ে বসেন লিটন। ১৩ বলে ১৬ রান করে মিরাজের দেখানো পথে হাঁটেন তিনি।
এরপর শুরুতেই দুই উইকেট হারানো দলের হাল ধরতে মাঠে নামেন সাকিব, ক্রিজে সঙ্গী ছিলেন ওপেনার নাঈম। কিন্তু এ জুটি বড় হয়নি। হারিস রউফের বলে তারই হাতে ক্যাচ হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ২৫ বল খেলে ৪ চারে ২০ রান করেছেন তিনি। এদিকে নাঈমের বিদায়ের পর মাঠে নামেন তাওহীদ হৃদয়। টুর্নামেন্টের আগের দুই ম্যাচে হাসেনি তার ব্যাট। একই পরিণতি হয়েছে আজও।
দশম ওভারে হারিসের প্রথম বলেই বোল্ড হন তিনি, ৯ বল খেলে করেছেন ২ রান। ফলে মাত্র ৪৭ রানেই চার টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া দল সাকিব-মুশফিকের জুটিতে চাপ কিছুটা সামলে ওঠেছে। এ দুজন মিলে জুটি গড়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ৫২ রান। অধিনায়ক সাকিব অপরাজিত আছেন ৩৪ বলে ৩৫ রানে, সঙ্গী মুশফিক করেছেন ৩৯ বলে ২৫ রান।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত