By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
  • ALL E-Paper
Reading: সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতার কারণ ও নিরসনে করণীয়
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতার কারণ ও নিরসনে করণীয়
সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতার কারণ ও নিরসনে করণীয়

Last updated: 2025/11/08 at 12:01 PM
জন্মভূমি ডেস্ক 4 days ago
Share
SHARE

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: একটু বৃষ্টি হলেই সাতক্ষীরা শহরসহ আশপাশের অসংখ্য গ্রাম ডুবে যায়। রাস্তার উপরেই থাকে কোমর সমান পানি আর উঠানে বুক সমান। বারান্দা, ঘর, রান্নাঘরে মাছ খেলা করে। টয়লেটগুলো থাকে পানির নিচে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পানি। পশুপাখির মরা দেহ, টয়লেটের বর্জ্য ভেসে বেড়ায় এক উঠান থেকে অন্য উঠানে। এভাবে চলে বছরের ছয় মাস। ফলে, মারা যাচ্ছে এলাকার অধিকাংশ গাছপালা। মানুষজন এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায় বর্ষার দিনগুলোতে। আবার কেউ স্থায়ীভাবে অন্য এলাকায় ঘর তুলছে।
কয়েকবছর আগেও এই এলাকার বেশিরভাগ কৃষি জমিতে বছরে তিনটা ফসল হতো। এছাড়া পাট, সরিষা, পুঁইশাক, পালং, লালশাক, সাদাশাক, পেঁপেসহ নানান জাতের সবজি উৎপাদিত হতো এই এলাকার মাঠে। এখন বছরের অর্ধেক সময় জলাবদ্ধ থাকায় এসব ফসল করতে না পারায় মানুষজন বাধ্য হয়ে ঘেরবেড়ি করছে। ফলে, জলাবদ্ধতা মারাত্মক রূপ নিয়েছে। কারণ, ঘেরের জন্য বেড়ি/কিনারা অনেক উঁচু করে, যাতে বেশি পানি হলেও ঘেরের উপর দিয়ে পানি চলাচল করতে না পারে। ফলে যে পানিটা বিলে থাকতো সেটা রয়ে যায় লোকালয়ে। এদিকে, যাদের ঘের করার জমি নেই, অন্যের ক্ষেতে মজুরি দিতো, তারা হয়ে পড়েছে সম্পূর্ণরূপে কর্মহীন। কারণ এক বিঘা জমিতে ধান চাষে যে পরিমান মজুর লাগে। ১০ বিঘা মৎস ঘেরে তার চেয়ে কম মজুর লাগে।
পানি প্রাকৃতিকভাবে নিষ্কাশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম নদী। কিন্তু যে খালগুলোর মাধ্যমে এলাকার পানি নদীতে পৌঁছুতো সেগুলো প্রভাবশালীদের দখলে গিয়ে এখন ঘের হিসেবে মাছ চাষ হয়। সেই খালগুলো দিয়ে পানি সরতে দেওয়া হয় না। অধিকাংশ জায়গায় খালের অস্তিত্বও নেই। খালের পাশের ঘের মালিকরা নিজের ঘেরের সাথে একত্র করে নিয়েছে খালগুলো। আবার সরকারি রাস্তার পাশ দিয়ে যে খাস জমি থাকে, যে জায়গা দিয়ে ড্রেনেজ সিস্টেম থাকতে পারতো তাও দখল করে ফেলেছে ঘের মালিকরা। তারা তাদের মৎস্য ঘেরের তিন পাশে বাধ দেয় আর একপাশের বাঁধ হিসেবে ব্যবহার করে সরকারি রাস্তা। এর ফলে, রাস্তাটাও সহজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা যদি নিজের জমিতে আলাদা বাঁধ দেয় তাহলে রাস্তা ও সেই বাঁধের মাঝখানে অটোমেটিক একটা ড্রেনেজ তৈরি হবে। যা দিয়ে লোকালয়ের পানি নদী পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে।
নদীর নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে। পলি জমে নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে গেছে, লোকালয়ের কিছু পানি নদীতে ভাটার সময় পার করার সুযোগ থাকলেও যেসকল স্লুইচ গেট দিয়ে লোকালয়ের পানি নদীতে দেওয়া হয় সেগুলোও পলি জমে অনেক উঁচু হয়ে থাকে। যা বর্ষার আগে অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। বর্ষার আগে এই মাটিটা ইট ভাটা বা এলাকার মানুষকে তোলার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। বর্ষায় যখন পুরো এলাকা ডুবে থাকে তখন এটা অপসারণের জন্য বাজেট এনে এলাকার প্রভাবশালীরা টাকা নয়-ছয় করার সুযোগ পায়।
এরপরও বেশিরভার পানি রয়ে যায় লোকালয়ে। বিলের পুরো পানিটা নদীতে পড়ার উপায় থাকে না। কারণ বিল নিচু, নদীর তলা উচু। আবার নদী খননে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ দেখা যায় না। পুরা নদীটা খনন করে জোয়ার ভাটা পুনরায় চালু করতে পারলে আবারো নদীটা প্রাণ ফিরে পেতো। কিন্তু কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত নদী খনন করা হয়। এবং নদী কেটে খাল বানানো হয়। নদীর মাঝে কিছুটা গর্ত করে সেই মাটি নদীর ভেতরে ও পাড়ে রাখা হয়। এবং একটু বর্ষা হলেই পাড়ে রাখা মাটি ধুয়ে আবার আগের মত ভরাট হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় নেতারা অপেক্ষা করে কখন আবারো নদী খননে বাজেট আসার। ফলশ্রুতিতে ভুগতে থাকে সেই সাধারণ জনগণ।
শহরের পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম বেতনা, মরিচ্চাপ, প্রাণ সায়ের খাল খনন করে তার সাথে সংযোগ খাল দখলমুক্ত করতে পারলে সহজে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে এলাকাবাসী। এজন্য শালিখা নদীর সাথে বেতনার সংযোগ, মরিচ্চাপের সাথে ইছামতির সংযোগ পুনঃস্থাপন, প্রাণ সায়েরের সাথে বেতনা নদীর সংযোগ তৈরী করা প্রয়োজন। প্রকল্পভুক্ত সকল নদী ও খালের সিএস ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সীমানা পিলার বসিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। এবং খননকৃত নদীর সকল মাটি এই সীমানা পিলারের বাইরে ফেলতে হবে, যাতে ধুয়ে আবার নদী ভরাট না হয়। গ্রাম ও শহরের পানির ড্রেন, খাল-বিল হয়ে নদীতে পড়ার সময় যাতে ¯্রােত বাধা না পায়, কেউ দখল না করে সেটা দেখভাল করতে হবে এবং একাধিক নদীর সংযোগের ফলে পানি প্রবাহিত হয়ে নদী যাতে প্রাকৃতিকভাবে খনন হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য সকল নদী-খালের ইজারা বাতিল করা জরুরি।
জলাবদ্ধতার সময় থমকে থাকে এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা, উৎপাদন, কর্মসংস্থান। মূলত পরিকল্পনাহীনতা ও অদূরদর্শী রাজনৈতিক পদক্ষেপ, প্রভাবশালী অসচেতন মৎস্য ঘের মালিকের কারণেই সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি চায় সাতক্ষীরাবাসী। কিন্তু সেই মুক্তি দিতে ব্যর্থ সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। সরকারি দলের সদিচ্ছার ঘাটতি না থাকলে এই জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব। ২০১১ সাল থেকে অতিমাত্রায় শুরু হওয়া জলাবদ্ধতা প্রতিবছর হয়ে আসছে। আর মাত্র দেড় মাস পর বর্ষা মৌসুম শুরু হবে। পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় এবছরেও নেওয়া হচ্ছে না আগাম কোন প্রস্তুতি।
স্থায়ীভাবে এ সমস্য নিরসনের জন্য এখনি যে প্রস্তুতি নিতে হবে
এ বছরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রস্তাবনা
১. দখলকৃত খাল পানি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হোক।
২. সরকারি রাস্তা ঘেরের বাঁধ হিসাবে ব্যবহার করতে দেওয়া বন্ধ করা হোক।
৩. পলি ভরাট হওয়া স্লুইস গেটের দুপাশের মাটি বর্ষার আগে অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হোক।
৪. বর্তমানে নদী খননের যে ধীরগতি তা রোধ করে, বর্ষার আগে নদী খনন সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা করা হোক।
৫. পুরো নদী একবারে খনন করে জোয়ারভাটা তরান্বিত করার উদ্যোগ নেওয়া হোক।
৬. এলাকার মাঝের রাস্তাগুলো যাতে না ডোবে সেই পরিমাণ উঁচু করা হোক।
দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার জন্য প্রস্তাবনা
৭. বেতনা নদীর সাথে শালিখা নদীর পুনঃসংযোগ স্থাপন করা হোক।
৮. বেতনার সাথে প্রাণসায়ের এর সংযোগ স্থাপন করা হোক।
৯. মরিচ্চাপ নদীর সাথে ইছামতির সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হোক।
১০. সকল নদী খালের ইজারা বাতিল করে খাল, স্লুইচ গেট সবসময় পানি সরানোর উপযোগী করা হোক।
সাতক্ষীরায় খাল রয়েছে প্রায় ৪২৯টি। এসব খাল দিয়ে পৌরসভা ও উপজেলা শহরের পানি নিষ্কাশন হয়। তবে দখল-দূষণে অধিকাংশ খালের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এ কারণে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকাসহ তিন উপজেলায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ২০২২ সা‌লে ৪৭৬ টাকা ব‌্যয়ে নদী ও বদ্ধ খাল পুনঃখনন প্রকল্প নেয়া হলেও নিরসন হয়নি জলাবদ্ধতা।
পৌরসভার বাসিন্দারা বলছেন, পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে ও সরকারি খালগুলো দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে মৎস্য ঘের। ফলে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হয়ে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে থাকে মাসের পর মাস। পৌর এলাকাসহ তিন উপজেলার কমপক্ষে লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি। বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরাঞ্চলের পানি নিষ্কাশন ও নদীর পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে একটি প্রকল্প নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ২০২২ সা‌লে নেয়া প্রকল্পে ব্যয় হয় ৪৭৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের অধীনে সাতক্ষীরা সদ‌রের বেতনা, ম‌রিচ্চাপ, আশাশু‌নির ক‌পোতাক্ষ, শ‌্যামনগ‌রের ছোট যমুনাসহ জেলার শতা‌ধিক বদ্ধ খাল পুনঃখননকাজ চলমান। তবে নদী খন‌নের শুরু‌তে অনিয়মের অভি‌যোগ তোলেন নদীপা‌ড়ের বাসিন্দারা। তাছাড়া বেতনা নদীর খনন বন্ধ রয়েছে। খাল খন‌নেও কো‌নো সুফল মিলছে না বলে দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন এই প্রতিবেদককে জানান, প্রকল্পটির ৭৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
ডিভিশন-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী এই প্রতিবেদককে ‌জানান, তার অধীনে থাকা কাজের ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। খননকাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে বলে আশা করছেন তারা।
গতকাল সাতক্ষীরা শহরের কয়েকটি এলাকা ও তিনটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বাড়িঘরে পানি উঠেছে। টিউবওয়েলগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। অনেকে পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভাড়া বাসায় দিন কাটাচ্ছে। চার মাস ধরে নোংরা পানিতে চলাফেরা করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। এ কারণে অনেকের চর্মরোগও দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পৌরসভার রাজার বাগান, ইটাগাছা, কামালনগর, বদ্দিপুর, তালতলা, উত্তর কাটিয়া, মাগুরা, মাঠপাড়া, মুনজিতপুর, গড়েরকান্দা, সুলতানপুর, রথখোলা, রাজারবাগান, কুখরালীতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার লাবসা, গোপীনাথপুর, ধুলিহর, শ্যাল্যে, মাছখোলা, ফিংড়ি, ব্রহ্মরাজপুর, ঝাউডাঙ্গা, বল্লীসহ আশাশুনি ও কলারোয়া উপজেলার অন্তত ৪০ গ্রাম জলাবদ্ধ রয়েছে। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ, নদী ও খাল খননে অনিয়মের কারণেই জেলার একটি বড় অংশ প্রতি বছর পানিতে ডুবে থাকছে।
পৌরসভার রাজার বাগান এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন জানান, চার মাস ধরে তার বসতবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। নিয়মিত নোংরা পানিতে চলাফেরা করার কারণে চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া রান্নাসহ অন্যান্য কাজে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নারীদের। পৌরসভার সব ধরনের কর পরিশোধ করার পরও পানি নিষ্কাশন বা নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
কথা হয় একই এলাকার দুই স্কুলছাত্রী মামনি বিশ্বাস ও মোহনা আক্তারের সঙ্গে। তারা জানায়, প্রতিদিনই কাদাপানির মাঝ দিয়ে পল্লীমঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যেতে হয় তাদের। শুধু তারাই নয়, নিকটবর্তী মাছখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্কুল-কলেজের দুই-তিন হাজার শিক্ষার্থী পানির মধ্য দিয়ে যাতয়াত করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না।
অপরিকল্পিত বাঁধ দিয়ে চিংড়ি ঘের তৈরি, নদীর বাঁধ ছিদ্র করে পানি উত্তোলন ও স্লুইসগেট নির্মাণ জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন সচেতর নাগরিকরা। তবে জলাবদ্ধতার কবল থেকে সাতক্ষীরাকে রক্ষা করতে হলে দ্রুত টেকসই পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করেন তারা। না হলে প্রতি বছর জলাবদ্ধতা যেভাবে বাড়ছে, তাতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাবে উপকূলীয় এ জেলা।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম এই প্রতিবেদককেবলেন, ‘বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে জেলায় কমপক্ষে তিন লাখ মানুষ সরাসরি পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এর মধ্যে স্থায়ী বা শুষ্ক মৌসুমে লক্ষাধিক মানুষ জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে। অধিকাংশ খালে পানি নিষ্কাশন বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন সময় কিছু খাল ইজারাও দেয়া হয়েছে। এসব খাল উদ্ধার করে সরকার খননের উদ্যোগ নিলেও শতভাগ সফলতা আসেনি। এ কারণে জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না। আশাশুনি ও সদর উপজেলা দিয়ে বয়ে চলা বেতনা, মরিচ্চাপ ও কপোতাক্ষ নদ পুনঃখননেও কোনো কাজে আসেনি। এসব নদী ও খাল যদি সঠিকভাবে খনন করা যেত তাহলে মানুষ জলাবদ্ধতার কবলে পড়ত না।’
সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অনেক নদী বা খালের নেটপাটা তুলে দেয়ার পর জলাবদ্ধতা বেশ কমে গেছে। তাছাড়া বেতনা ও প্রাণসায়ের খালের খননকাজ শেষ হলে আগামীতে জলাবদ্ধতা থাকবে না।’

জন্মভূমি ডেস্ক November 8, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article সুন্দরবনের মধুর মান ক্ষুন্ন করছে ভেজাল মধুতে
Next Article সাতক্ষীরা‍র ৯৬ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, উজাড় হচ্ছে বন

দিনপঞ্জি

November 2025
S M T W T F S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
« Oct    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সুন্দরবনে বেড়েছে গরানগাছ

By জন্মভূমি ডেস্ক 2 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সুন্দরবনের দাবিয়ে বেড়াচ্ছে ‌২০বনদস্যু বাহিনী : ১০ মাসে অস্ত্রসহ ৪৩ বনদস্যু আটক

By জন্মভূমি ডেস্ক 3 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

তালায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

By জন্মভূমি ডেস্ক 7 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

তাজা খবরসাতক্ষীরা

সুন্দরবনে বেড়েছে গরানগাছ

By জন্মভূমি ডেস্ক 2 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সুন্দরবনের দাবিয়ে বেড়াচ্ছে ‌২০বনদস্যু বাহিনী : ১০ মাসে অস্ত্রসহ ৪৩ বনদস্যু আটক

By জন্মভূমি ডেস্ক 3 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

তালায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

By জন্মভূমি ডেস্ক 7 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?