
ডেস্ক রিপোর্ট : ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে সাতক্ষীরায়। জেলার স্কুল-কলেজের ক্লাসরুমগুলো আজও ফাঁকা পড়ে আছে। বেঞ্চ-টেবিলে ধুলো জমেছে, ব্ল্যাকবোর্ডে আগের দিনের লেখা অক্ষত রয়ে গেছে। শিক্ষকরা এসেছেন ঠিকই, কিন্তু কেউ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয় অভিমুখে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। দাবি, প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে ফেরা নয়।
সাতক্ষীরা সদর, তালা, কলারোয়া, আশাশুনি ও শ্যামনগরের স্কুল-কলেজগুলোতে সকাল থেকেই দেখা গেছে এক অচেনা নীরবতা। পাঠদান বন্ধ রেখে শিক্ষকরা কেউ স্টাফরুমে, কেউ বিদ্যালয়ের বারান্দায় ব্যানার হাতে অবস্থান করছেন। অনেক প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীরা এসে ফিরে যাচ্ছে হতাশ হয়ে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেছেন, “সরকারের ঘোষিত ভাতা বৃদ্ধি অবাস্তব ও অপর্যাপ্ত। আমরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ও ১,৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি।”
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়েছে সাতক্ষীরার উপজেলা পর্যায়ে। ফেসবুকে ঢাকায় অবস্থানরত সহকর্মীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে শিক্ষকরা লিখছেন- ‘প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কলম ধরব না।’
সাতক্ষীরা জেলার একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যথা সময়ে প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে এবং শিক্ষকরাও এসেছেন। শিক্ষার্থীরা আসলেও তাদের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
জেলা শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মোঃ নজিবুল ইসলাম বলেন, ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনের মতো স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হচ্ছে সাতক্ষীরায়। জেলার সকল এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন- সরকার আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষকদের আন্দোলনের ময়দান থেকে ক্লাসে ফিরিয়ে নিবেন-এ প্রত্যাশা আমাদের। বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন, সাতক্ষীরা জেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ মোঃ বদিউজ্জামান খান বলেন, ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনেও সাতক্ষীরায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হচ্ছে। জেলার সকল বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
অভিভাবকরা জানান- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই অচলাবস্থা অচিরেই দুর হোক। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে আসুক এবং সরকার শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিক-এ প্রত্যাশা আমাদের।