
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়ায় রাতের আধারে ঘরের মধ্যে ভগ্নিপতির দেয়া পেট্রোলের আগুনে দগ্ধ হয়েছেন শ্যালক, তার স্ত্রী ও শিশু কন্যা। তাদের মধ্যে শ্যালক কাদের হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক। রোববার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামের ফুটবল মাঠের পাশে নুরু গাজীর বাড়িতে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ওই যুবক উপজেলার কাঁদপুর গ্রামের মান্নান বিহারীর ছেলে সোহাগ হোসেন।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে কাদের হোসেন(২৭), তার স্ত্রী শারমিন (২৪) ও কন্যা ফাতেমা (৭)। অহতদের মধ্যে কাদের হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রোববার ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে চন্দনপুর গ্রামের কাদের হোসেনের ঘরের দরজায় বাইরে তালাবদ্ধ করে জানালা দিয়ে কে বা কারা পেট্রোল ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হন কাদের হোসেন, তার স্ত্রী শারমিন ও কন্যা ফাতেমা। ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে দগ্ধ হলেও দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় ঘর থেকে তারা বের হতে পারেনি।
তাদের চিৎকারে আশপাশের ঘুমন্ত প্রতিবেশিরা উঠে এসে জানালার রড ও তালা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ও পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরে আশংকাজনক অবস্থায় কাদের হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আহত কাদেরের সঙ্গে তার বোনের স্বামী বেনাপোলের সবুজ হোসেনের কয়েকদিন ধরে ঝামেলা চলছিলো। এমনকি মোবাইল ফোনে কাদেরকে হুমকি ধামকিও দেয় সবুজ। বিষয়টি কাদের অতিসম্প্রতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকেও অবহিত করেছিলেন। এনিয়ে শালিস বৈঠকের কথা ছিলো। ভুক্তভোগি পরিবার ও প্রতিবেশিদের ধারণা ভগ্নিপতি সবুজ হোসেন দরজায় তালা মেরে জানালা দিয়ে ঘরে পেট্রোল ছুড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে থাকতে পারে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবুজের সহযোগি কলারোয়ার কাঁদপুর গ্রামের মান্নান বিহারীর ছেলে সোহাগ হোসেনকে পুলিশ আটক করেছে। সোহাগ ও সবুজ পরষ্পর বন্ধু। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাইরাভাই।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আহত কাদেরের বোন সুফিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে সোহাগকে আটক করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সবুজকে আটকের চেষ্টা চলছে।