
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় হঠাৎ করে সাদা মাছের ব্যাপক দরপতন দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি এক থেকে দেড়শত টাকা পর্যন্ত কমে গেছে। হঠাৎ করে মাছের এ দরপতনে ঘের মালিকরা চরম বিপাকে পড়েছে।
জেলায় মোট ১ লক্ষ ৫১ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই খামারিরা সিংহভাগ মাছ বাজারজাত করে থাকেন। ফলে এই সময় বাজারে তুলনামূলক কম দামে মাছ বিক্রি হয়।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন মাছের আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়, ১ কেজি ওজনের সিলভার মাছ একমাস আগে ১৩৫-১৪০ টাকা বিক্রি হত, এখন মাত্র ৮৫-৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ৫০০ গ্রাম ওজনের রুই মাছ এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ১৯০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৩২ টাকায়। একইভাবে মৃগেল, কাতলা, মিনার কাপসহ সকল মাছের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা হ্রাস পেয়েছে।
সাতক্ষীরা বড় বাজার মহস্য ব্যাবসায়ি রুহুল আমিন জানায়, এক সপ্তাহ আগে ১০ মণ মাছ বিক্রি করেছি ৮০ হাজার টাকা এখন সেই একই মাছ বিক্রি করলাম মাত্র ৫৫ হাজার টাকায়।
শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের এর মালিক আব্দুল মালেক এই প্রতিবেদককে বলেন বর্তমান অক্টোবর মাসের শেষ এখান থেকে ডিসেম্বরে মাঝামাঝি পর্যন্ত সাদামাছের দাম কম যাবে কারণ পথিকের মালিকরা সাদা মাছ ধরা শুরু করেছেন কিছুদিন পরে ফেরের পানি ফেলে দিয়ে সম্পূর্ণ মাছ ধরে ফেলবে তখন সাদামাছার দাম বাজারে আরো কমে যাবে তারই প্রভাব বর্তমানে শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন বর্তমান অনেকের মালিকরা ভেটকি মাছ পারছেমাস সহ নানা প্রজাতির মাছ জাল টানে ধরে আড়তে নিয়ে যাচ্ছে সে কারণে আরতে মাছের দাম তুলনামূলকভাবে খুবই কমে গেছে।
ঘের ব্যবসায়ি শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার আশাশুনি উপজেলায় ২০ বিঘা জমিতে সাদা মাছের ঘের রয়েছে। এখন ঘের খাড় দেওয়ার সময়। হঠাৎ করে সাদা মাছের ব্যাপক দরপতন হওয়ায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিএম সেলিম বলেন, সাতক্ষীরায় ১ লক্ষ ৫১ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। প্রতি বছর এই সময়ে খামারিরা সিংহভাগ মাছ বাজারজাত করে থাকেন ফলে মাছের দাম একটু কম থাকে। তবে বছরের শুরুতে একটু দরপতন হয় পরে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।

