সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : ‘কলকাতা খাল’ সংযুক্ত আরেকটি খালে বাঁধের কারণে এই রাস্তায় অস্বাভাবিক জোয়ার সৃষ্টি হলে ভেঙে পড়ে তিন উপজেলার সংযোগ রাস্তাটি।
সাতক্ষীরার এল্লারচর থেকে পারুলিয়া পর্যন্ত তিন উপজেলার সংযোগ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে মঙ্গলবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
সাতক্ষীরার এল্লারচর থেকে পারুলিয়া পর্যন্ত তিন উপজেলার সংযোগ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
কদমখালী-শশাডাঙ্গা এলাকার মানুষ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচি করে।
এ সময় কদমখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিরঞ্জন মণ্ডল বলেন, “দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের কদমখালি, শশাডাঙ্গা ও আশপাশ এলাকার ভুক্তভোগী জনগণ, অত্যন্ত দুঃখ ও উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি, বাগমারী ব্রিজ থেকে শশাডাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তাটি বর্তমানে মারাত্মকভাবে ভেঙে গিয়ে খালের দিকে ধসে পড়ছে। ফলে প্রতিদিন এ পথে চলাচলকারী শত শত মানুষ, বিভিন্ন যানবাহন ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, বিশেষ করে শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, নারী ও রোগীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। এর ফলে এক ধরনের জনক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এর সমাধান হল দ্রুত রাস্তা সংস্কার।”
‘কলকাতা খাল’ সংযুক্ত আরেকটি খালে বাঁধের কারণে এই রাস্তায় অস্বাভাবিক জোয়ার সৃষ্টি হলে ভেঙে পড়ে তিন উপজেলার সংযোগ রাস্তাটি। পরে র্যাব ও প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে সেই বাঁধ অপসারণ করে। কিন্তু যে রাস্তাগুলো ধসে গেছে। তা ক্রমশ ভাঙনের কবলে পড়েছে বলে জানান শশাডাঙ্গা গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, “এখন এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দ্রুত হস্তক্ষেপে রাস্তাটি রক্ষা করা সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের দাবি। রাস্তাটি ভেঙে গেলেই প্লাবিত হবে কমপক্ষে ১২ গ্রামের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মাছের ঘেরসহ অনেক কিছু।”
কদমখালী গ্রামের গৃহবধূ সবিতা রাণী বলেন, “রাস্তাটির এই অবস্থার কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। স্থানীয় জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ, কৃষিপণ্য পরিবহন, চিকিৎসা ও শিক্ষার মতো কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম আসায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠছে। যদি এখনই দ্রুত সংস্কার না করা হয় তাহলে পুরোপুরিভাবে রাস্তাটি কলকাতা খালে ধসে পড়বে। তখন সংস্কারে খরচও বেশি হবে।”
প্রবীণ নাগরিক নেতা ও শিক্ষক নিরঞ্জন মণ্ডলের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন ভদ্রকান্ত বাছাড়, মোহাম্মদ মোস্তফা মোল্লা, আব্দুস সাত্তার, বিজন বাছাড়, অমল সরকার, ছালেক রেজা, আলমগীর হোসেন, সবিতা রাণী, মো. আব্দুল্লাহ, কানাই সরকার, আজিজ মোড়ল, মহাদেব সরকার, বিন্দা সরকার, রাজ্জাক গাজী ও জিতেন সরকার।