সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ১০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দিতে সব পরিকল্পনা করা হলেও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে পাতানো নিয়োগ ভেস্তে গেছে। সোমবার সন্ধায় শহরের একটি স্কুলে এ নিয়োগ পরীক্ষায় স্থানীয় লোকজন ঘেরাও করলে নিয়োগ বোর্ডেও কর্মকর্তারা পালিয়ে যান। একারনে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে, ঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে ১২ জন প্রার্থী আবেদন করেন। ২ অক্টোবর-২০২৩ রবিবার, সন্ধ্যা ৭টায় সাতক্ষীরা শহরের নবারুণ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান ও সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহর উপস্থিতিতে ১০ লাখ টাকায় পাতানো নিয়োগ বোর্ড বসান প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ফজলুর রহমান মোশা।
এদিকে, রাতে নবারুণ বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড বসানোয় সেখানে উপস্থিত হন স্থানীয়রা। তারা জানতে চান রাতে স্কুল খোলা কেন? এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
অপরদিকে, জনরোষে পড়ে, ডিজির প্রতিনিধি সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান ও সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ও ঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান ও সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ জানান, আমরা চিঠি পেয়ে এসেছি। তবে, রাতে বিদ্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে কেনো পরীক্ষা নিচ্ছিলেন? এই প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি।
প্রধান শিক্ষক হাসানুর রহমান বলেন, আমি কিছু জানি না। সবকিছু সভাপতি করছেন।
ঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সভাপতি ফজলুর রহমান মোশার কাছে রাতের অন্ধকারে কেন নিয়োগ নিয়োগ পরীক্ষা নিচ্ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে এমনটি হয়েছে। ১০ লাখ টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বিকার করেন।
সাতক্ষীরা নবারুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেকের কাছে গতকাল সন্ধ্যার পরে স্কুলে তালা লাগিয়ে কি হচ্ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছিল। তারা আমার কাছে রুম চেয়েছিল। তাই দিয়েছি। আর কিছু বলতে পারব না।
সাতক্ষীরার স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ বানিজ্য বন্ধ
Leave a comment