গাজী জাহিদুর রহমান, তালা
সাতক্ষীরার থেকে বিভিন্ন জাতের আম চলে যাচ্ছে রাজধানীসহ সারা দেশে। প্রতিদিন জেলার সুলতানপুর বড় বাজার থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে প্রায় ২১ থেকে ২২ টন হিমসাগর, ল্যাংড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির আম। ফল ব্যবসায়ীরাও পার করছেন ব্যস্ত সময়। তবে ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, ফলন কম হওয়ায় এ বছর আমের দাম বেশি।
কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, ‘তিনি দেড় বিঘা জমিতে আম বাগান করেছেন। এখন পরিপক্ক হিমসাগর আম ভেঙে বাজারে বিক্রি করছেন প্রতিদিন। বাগানে হিমসাগর, ল্যাংড়া, কাঁচামিঠে ও গোবিন্দাভোগ জাতের আম রয়েছে। এখন হিমসাগর আম ভেঙে বিক্রি করছি। দাম পাচ্ছি ১৭০০-১৮০০ টাকা মণ। ফলন কম হওয়ায় এবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।’
জেলা সদরে ছয়টি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে। ইউএস বাংলা কুরিয়ার সার্ভিসে প্রতি কেজি আম ঢাকাতে পাঠাতে নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা, ঢাকার বাইরে ১৫ টাকা, এস এ পরিবহনে ঢাকায় পাঠাতে প্রতি কেজি ১৭ টাকা, ঢাকার বাইরে ২২ টাকা, এ জে আর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসে ঢাকায় পাঠাতে প্রতি কেজি ১২ টাকা, ঢাকার বাইরে ১৫ টাকা, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে ঢাকায় পাঠাতে প্রতি কেজি ১২ টাকা, ঢাকার বাইরে ১৬ টাকা ও জননী কুরিয়ার সার্ভিসে ঢাকায় পাঠাতে ১০ টাকা, ঢাকার বাইরে নেওয়া হচ্ছে ১৫ টাকা এবং কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসে ঢাকাসহ সারা দেশে ১৫ টাকা প্রতি কেজি।
ইউএস বাংলা কুরিয়ার সার্ভিসে আম বুকিং হচ্ছে দৈনিক চার হাজার কেজি, এস এ পরিবহনে ১৫০০ কেজি, এ জে আর কুরিয়ার সার্ভিসে ৭০০-৮০০ কেজি, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে ১১ হাজার কেজি, জননী কুরিয়ার সার্ভিসে চার হাজার ৪০০ কেজি, কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসে ৪০০ কেজি। সব মিলে দৈনিক সাতক্ষীরা থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আম যাচ্ছে ১৮ হাজার ১০০ কেজি অর্থাৎ ১৮.১ টন। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা থেকে আরও ৩ থেকে ৪ টন আম যাচ্ছে প্রতিদিন।
সাতক্ষীরা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম বলেন, গোবিন্দভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়াসহ দেশীয় প্রজাতির আমগুলো এখন পরিপক্ক হয়ে বাজারে উঠছে। ব্যবসায়ীরা যেন আমে কোনো ধরনের ফরমালিন ব্যবহার না করে, সেজন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে আবহাওয়াজনিত কারণে এ বছর গাছে আমের ফলন অর্ধেকেরও কম। তাই দামটাও গত বছরের তুলনায় একটু বেশি।