By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
  • ALL E-Paper
Reading: সাতক্ষীরা নদীগুলো প্রাচীনকালের ইতিহাস
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ALL E-Paper
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > সাতক্ষীরা নদীগুলো প্রাচীনকালের ইতিহাস
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা নদীগুলো প্রাচীনকালের ইতিহাস

Last updated: 2025/06/18 at 2:18 PM
করেস্পন্ডেন্ট 2 months ago
Share
SHARE

সিরাজুল ইসলাম শ্যামনগর : কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষনদ যশোর জেলার কেশবপুর,চৌগাছা ও ঝিকরগাছার ভেতর দিয়ে সাতক্ষীরা জেলায় প্রবেশ করেছে । পরে পাটকেলঘাটা, তালা প্রভৃতি প্রসিদ্ধ স্থান স্পর্শ করে রাড়ুলির নিকট শিবসা নদীতে মিশে গেছে । কপোতাক্ষনদ খুলনা- সাতক্ষীরার সীমানা নির্দেশ করে ক্রমশ দক্ষিণ দিক অগ্রসর হয়ে শ্যামনগর উপজেলার চাঁদনিমুখার কাছে আড়পাঙ্গাশিয়া নামধারণ করে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে মালঞ্চ নদীর সাথে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে ।

ইছামতিওযমুনা:গঙ্গা নদীর দুটো বিশিষ্ট শাখা নদী ইছামতি ও যমুনা । ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জের কাছে মাথাভাঙ্গা নদী একটি শাখা চুনি নামধারণ করেছে । সেখান থেকে একটি শাখা ইছামতি নাম ধারণ করে সর্বপ্রথম অগ্রসর হয়েছে । এটি পশ্চিমবঙ্গের বনগ্রাম (বনগাঁ) অতিক্রম করে সর্বপ্রথম কলারোয়া উপজেলার চান্দুড়িয়া সীমানা স্পর্শ করে কিছুদূর আন্তর্জাতিক সীমা বরাবর প্রবাহিত হয়ে পুনরায় ভারতের ভেতরে গোপালপুরে প্রবেশ করেছে । অতঃপর গোবরডাঙ্গার দক্ষিণে চারঘাটের কাছে টিপির মোহনায় যমুনা-ইছামতি মিলিত হয় এবং এখানে যমুনা ইছামতির কাছে আত্মসমর্পণ করে নিজের নাম বিলুপ্ত করে দেয় । যমুনা নদীর বৈশিষ্ট্যের কথা বলতে গিয়ে সতীশচন্দ্র মিত্র লিখেছেন, যমুনার যেন একটা স্বভাব এই যে, সে অধিক দূর পর্যন্তএকক অগ্রসরহইতে পারে না । তিনি লিখেছেন, ইছামতি সোজা দক্ষিণেপ্রবাহিত হয়েছে ।বাংলাদেশ-ভারত সীমা নির্দেশ করে দেবহাটা উপজেলার টাউনশ্রীপুর,দেবহাটা প্রভৃতি গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের উত্তর সীমা দিয়ে পূর্বমুখে প্রবাহিত হয়েছে । পরে কালিগঞ্জের পাশে পুনরায় দক্ষিণমুখী হয়ে শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর পৌছিয়েছে । তবে স্থানীয় অধিবাসীগণ কালিগঞ্জ থেকে যে খালটি বর্তমানে শ্যামনগরে বহমান আছে তাকে মরা যমুনা হিসেবেই জানে । কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা আর শ্যামনগরের খানপুরের কাছে জাহাজঘাটা নামক স্থানটি বিগতযৌবনা যমুনারই স্মৃতি বহন করেছে। যমুনা নদীর হারানো ঐতিহ্যের আরো পরিচয় পাওয়া যায় প্রচলিত প্রবাদটির ভেতরে – যমুনা নদী মরবে না, অধিকারীরা পড়বে না । যমুনা নদীর এই দূর্দশার কারণ হিসেবে বিভিন্ন গ্রন্থাদি আর লোকমুখ থেকে জানা যায়, বাংলা ১২৭৪ সালের ১২ কার্তিক (১লা নভেম্বর ১৮৬৭) তারিখে এ অঞ্চলে ভিষণ ঝড় হয় । এতে এক রাত্রে সুন্দরবনের ১২ ফুট পর্যন্তপানি বেড়ে যায় । পরদিন যমুনার স্রোতে ভিষণ পরিবর্তন লক্ষ্যকরা যায় । বালি জমে যমুনার গতি অনেক মন্দা হয়ে যায় । কালিন্দীর জোয়ার যমুনায় প্রবেশ করে তাকে দোটানা করে দেয়। ফলে অল্প দিনের মধ্যে যমুনা প্রায় শুকিয়ে যায় ।ঈশ্বরীপুরের নিকট যমুনা -ইছামতি আবার দুভাগে বিভক্ত হয়েছে ॥ যমুনার ডানদিকে (পশ্চিমে) কিছুটা অগ্রসর হয়ে ‘মাদার’ নাম নিয়ে দক্ষিণমুখী হয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে কিছুদূর গিয়ে আবার ‘যমুনা’ নাম নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে । আর ইছামতি বামদিকে ঈশ্বরীপুরের পূর্বপাশ দিয়ে ‘কদমতলী’ নাম ধারণ করে মুন্সিগঞ্জে সুন্দরবনের সীমা নির্দেশ করে কদমতলী বন অফিসের কাছে ‘মালঞ্চ’ নাম ধারণ করে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে

কালিন্দী:কালিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমে বসন্তপুরে যমুনা থেকে একটি শাখা সোজা দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে । এটি কালিন্দী নামে পরিচিত । এই নদী বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারতে সীমানা নির্দেশ করছে । রাজা প্রতাপাদিত্যের সময় কালিন্দী সাধারণ খালের মতো ছিল । ১৮১৬ সালে খনন করে একে আরো দক্ষিণে কলাগাছিয়া নদীর সাথে যোগ করা হয় । পরবর্তীকালে বানে কালিন্দী বড় নদীতে পরিনত হয় বলে কথিত আছে । আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর প্রবাহিত হয়ে কালিন্দী রায়মঙ্গলের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে ।
কাকশিয়ালী:কালিন্দীকে কলাগাছিয়ার সাথেযোগ করার আগে কালিগঞ্জের যমুনা থেকে একটি খাল কেটে পূর্ব দিকে উজিরপুরের নিকটে গলঘেসিয়ার সাথে যুক্ত করা হয় ।এটি ‘কাকশিয়ালী’ নদী নামে পরিচিত । বৃটিশ ইঞ্জিনিয়ার উইনিয়াম ককশাল এই খাল খনন করেন । তার নামানুসারে এই খালের নাম হয় ‘কাকশিয়ালী
বেতনা(বেত্রাবতী) :ভৈরবের একটি শাখা নদী বেতনা । যশোর জেলার নাভার-বাগাছড়া প্রভৃতির উপর দিয়ে সাতক্ষীরা জেলায় প্রবেশ করেছে । কলারোয়া পৌরসভার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা, বিনেরপোতা হয়ে পূর্ব-দক্ষিণে বুধহাটার গাংনাম ধারণ করেছে । অতঃপর আরও দক্ষিণে মানিকখালিতে মরিচ্চাপের সাথে মিলিত হয়েছে ।এখানথেকে একটি শাখা পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বড়দলের উপর দিয়ে কপোতাক্ষে যুক্ত হয়েছে আর অপর শাখা দক্ষিণে খোলপেটুয়ার সাথে মিশেছে ।
খোলপেটুয়া:আশাশুনি উপজেলার মানিকখালিতে বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী খোলপেটুয়া নাম ধারণ করে দক্ষিণ মুখে এগিয়ে চলেছে । পথিমধ্যে কাপসন্ডা, গোরালি প্রভৃতি স্থান স্পর্শ করে ঘোলা নামক স্থানে গলঘেসিয়া নদীর সাথে যুক্ত হয়েছে । অতঃপর আরও দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেকির পাশ দিয়ে বুড়িগোয়ালিনিতে আড়পাঙ্গাশিয়া নাম ধারণ করেছে এবং পারশেমারির নিকট কপোতাক্ষের সাথে মিলিত হয়েছে ।
গলঘেসিয়া:শ্যামনগর উপজেলার ঘোলা নামক স্থানে খোলপেটুয়া নদী থেকে একটি শাখা নদী প্রথমে শ্যামনগর-আশাশুনি পরে কালিগঞ্জ-আশাশুনি উত্তরদিকে প্রবাহিত হয়েছে ।এটি ‘গলঘেসিয়া’ নামে পরিচিত । পথিমধ্যে বাঁশতলা,মহিষকুড়,শ্রীউলা প্রভৃতি স্থান স্পর্শ করে এটি যমুনা প্রবাহ কাকশিয়ালী নদীর সাথে মিলিত হয়েছে ।বর্তমানে ‘গলঘেসিয়া’ নদীর অনেক স্থানে ভরাট হয়ে গেছে । ফলে ভাটার সময় এটি দিয়ে বড় ধরণের নৌযান চলতে পারে না । এতে এ নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহি মহিষকুড় হাটও অনেকটা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে ।
মরিচ্চাপ:এই নদী সাতক্ষীরাসদর উপজেলার ওপর দিয়ে এল্লারচর হয়ে ক্রমশ দক্ষিণ-পুর্বমুখী হয়ে আশাশুনি উপজেলায় প্রবেশ করেছে । আশাশুনি উপজেলার কামালকাটি, শোভনালী, চাপড়া প্রভৃতি স্থান স্পর্শ করে মরিচ্চাপ মানিকখালিতে বেতনা ও খোলপেটুয়া নদীর সাথে মিলিত হয়েছে ।
প্রাণসায়র:ব্রিটিশ আমলে সাতক্ষীরার বিখ্যাত জমিদার প্রাণনাথ রায়চৌধুরী এল্লারচর নামক স্থাানে মরিচ্চাপ নদী থেকে একটি খাল খনন করে সাতক্ষীরা পৌরসভার ওপর দিয়ে উত্তর দেকে নৌখারি খালের সাথে সংযোগ করেন । এটি প্রাণসায়র, প্রাণসায়ের বা সায়রের খাল নামে পরিচিত । সাতক্ষীরা শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে প্রবাহিত এই ঐতিহাসিক খাল প্রায় মজে গেছে । দু’পাশে অবৈধ স্থাপনা, দোকানপাটা স্থাপনের ফলে প্রাণসায়র তার অতীত ঐতিহ্য হারাতে বসেছে ।
দক্ষিনতালপট্টিদ্বীপ:দক্ষিন তালপট্টি দ্বীপ সাতক্ষীরা জেলার হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনা অবস্থিত। এ দ্বীপটির অপর নাম হচ্ছে নিউমুর বা পূর্বাশা। দ্বীপটির আয়তন ৮ বর্গ কিলোমিটার । দ্বীপটির রয়েছে অপরুপ সৌন্দর্য। এটি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরোধ বিদ্যামান।

করেস্পন্ডেন্ট November 1, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article লবণাক্ত গ্রাস করেছে উপকূল থেকে ‌ ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত
Next Article পশু স্বাস্থ্যের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব

দিনপঞ্জি

December 2025
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
« Nov    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
সাতক্ষীরা

কালিগঞ্জের চম্পাফুলে ১৭ দিন ধরে অবরুদ্ধ সুনীল মন্ডলের পরিবার

By জন্মভূমি ডেস্ক 56 minutes ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

পেটের দায় আর লোভে বিষাক্ত হচ্ছে সুন্দরবন

By জন্মভূমি ডেস্ক 2 hours ago
সাতক্ষীরা

নারী নেতৃত্বে বদলে যাচ্ছে উপকূলের জীবনকথা

By জন্মভূমি ডেস্ক 13 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

সাতক্ষীরা

কালিগঞ্জের চম্পাফুলে ১৭ দিন ধরে অবরুদ্ধ সুনীল মন্ডলের পরিবার

By জন্মভূমি ডেস্ক 56 minutes ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

পেটের দায় আর লোভে বিষাক্ত হচ্ছে সুন্দরবন

By জন্মভূমি ডেস্ক 2 hours ago
সাতক্ষীরা

নারী নেতৃত্বে বদলে যাচ্ছে উপকূলের জীবনকথা

By জন্মভূমি ডেস্ক 13 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?