
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের মেগা প্রকল্পে ৪০০ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে আওয়ামী লীগ ক্যাডার নামে পরিচিত তিন কর্মকর্তা । সে কারণে মেগা প্রকল্প নামে স্থানীয় জনগতার কাছে হাসির প্রকল্পে পরিণত হয়েছে । এছাড়া, একই উপজেলার ভুরি গোয়ালিনী ইউনিয়নের জাই কার ৯৭কোটি টাকার ৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই তিন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এরা তিনজনই আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান এবং জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত সকলের বাপ চাচা ভাই আওয়ামী লীগের কমিটির পথ পদবীতে রয়েছে ।সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান আহমেদ সরদার এখন শত কোটি টাকার মালিক। আর এই শত কোটি টাকার মালিক হতে সাপোর্ট করেছেন তার নিজ জেলা মাগুরার কয়েকজন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিএস, এপিএস মন্ত্রী, ও সংসদ সদস্যরা । তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় গাবুরা ইউনিয়নের টেকসই মজবুত পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়িবাদের জন্য ১০৪০ কোটি টাকা মেগা প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে। শুরু থেকে আওয়ামী লীগ নেতা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদার ও উপসহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রকল্পটি হরি লুট করেছে ,এবং এতে ম্যানেজ করেছেন ট্যাক্স ফোর্সের কর্মকর্তাদের। এই শত শত কোটি টাকার বস্তা ড্যাম্পিং, মাটির কাছে অনিয়ম ,জমি করায় কাছে অনিয়ম, বস্তিবাসীদের উচ্ছেদে অনিয়ম ,বালি উত্তোলনে অনিয়ম, মাল-মিটিয়েছে অনিয়ম , ব্লক তৈরিতে অনিয়ম , লবণ বালিতে অনিয়ম, সিলেকশন বালিত অনিয়ম,সহ নানামাত্রিক অনিয়ম মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন দিদাচ্ছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই টাকার বড় একাংশ পেয়েছেন সাতক্ষীরা তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ তিনিও শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দ্রুত বদলি হয়ে ঢাকার হেড অফিসে উঠে গেছেন ।তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তার স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্ট তার নিকটস্থ আত্মীয়র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তলব করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে এভাবে বেরিয়ে আসবে ইমরান সরদার সহ উপসহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেনের অবৈধ অর্থের সন্ধান। উপসহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেনের বাড়ি ছিলেন সিরাজগঞ্জ তিনি প্রকাশ্য বলতেন আমি ছাত্রলীগের সুবাদে প্রয়াত মন্ত্রী নাসিম সাহেবের হাত ধরে চাকরিতে যোগদান করেছি বর্তমান নাসিম সাহেব মৃত্যুবরণ করায় তার পুত্র আমার সবকিছু দেখভাল করেন। তৎকালীন সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ মেগা প্রকল্পের অধিকাংশ অর্থ সংগ্রহের কাজ সমাপ্ত হওয়ার সাথে সাথে ঢাকায় মাননীয় পানি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ডিজি এর কাছে বদলির আবেদন করে তড়িঘড়ি করে বদলি হয়ে চলে এসেছে। তারও রাজনৈতিক জীবনে ইতিহাস পাওয়া গেছে তিনিও ছাত্রলীগের সক্রিয় ক্যাডার ছিলেন এবং দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর চাকরিতে যোগদান করেন এর পিছনে ও আওয়ামী লীগের তৎকালীন পানি সম্পদ মন্ত্রীর এপিএস, পিএস ও মন্ত্রী নিজে মোটা অর্থের বিনিময় সালাউদ্দিন আহমেদকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি দিয়ে সাতক্ষীরায় যোগদান করাইয়ে দেন। এছাড়া তৎকালীন সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির শত শত অভিযোগ বস্তবন্ধী হয়ে পড়ে আছে টাকার বিনিময় এই সমস্ত অভিযোগ এখনো পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।২০১৮-১৯ অর্থবছরে ইমরান আহমদ বুয়েটে থেকে লেখাপড়া শিখে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সেই সুবাদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কয়েকজন বিশেষ সহকারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের চাকরি নেন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পদে । চাকরি নেওয়ার পরে তৎকালীন সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপিদের প্রভাবে বদলি হয়ে যায় সাতক্ষীরার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে সেখান থেকে দায়িত্ব পান শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের মেগা প্রকল্পে।এই মেঘা প্রকল্পের প্রত্যেকটি খাতে সীমাহীন দুর্নীতি অনিয়ম ঘুষ বাণিজ্য হয়েছে তাতে ১০৪০ কোটি টাকার মধ্য কাজ সমাপ্ত হচ্ছে মাত্র ৬০০ কোটি টাকায় বাকি ৪৪০ কোটি টাকা সাতক্ষীরা সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ, ইমরান আহম্মদ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেনের পকেটে যায় ।সেখান থেকে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করা হয়। অথচ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন বাসির কষ্টের শেষ নেই, মেগা প্রকল্পের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে আগের মতই তাদের কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। এর একমাত্র অধিনায়ক সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন আহমেদ ও মাগুরার সন্তান আওয়ামী লীগের ক্যাডার ইমরান সরদার। এই ইমরান সরদার ৫ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের আগে নিয়মিতভাবে মাগুরার আওয়ামী লীগ নেতা সাকিব আল হাসান সাবেক এমপি, সাইফুজ্জামান শেখর সাবেক এমপি, ও বীরেন্দ্রনাথ সিকদার সাবেক এমপি এদের সাথে যোগাযোগ করে হরি লুট করে দিয়েছে সাতক্ষীরার মেগা প্রকল্প স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি গাবুরাবাসীর সেজন্য গাবুরা বাঁশিএখন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পানী উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসানও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন, যাহাতে এই প্রকল্পের দুর্নীতির সাথে জড়িত নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান আহমেদসহ আর যারা ছিলেন তাদেরকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে এবং চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রমাণ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু ক একজন ঠিকাদার এই প্রতিবেদককে জানান কাজ শুরুর আগেই ১০% কমিশন নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ ও ইমরান আহমেদকে দিয়ে কাজ শুরু করতে হয়েছে তা না হলে ওয়ার্ক অর্ডার দিতে গড়িমওসি করেছে যার কারণে এই মেগা প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হতে বিলম্ব হচ্ছে, এর জন্য একমাত্র দায়ী তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন আহমেদ । ইমরান আহমেদ সরদার যে আওয়ামী লীগের ও ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিলেন সেটি ঢাকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সহ মাগুরা জেলার আওয়ামী লীগের শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত সকলেই অবহিত আছেন। ইমরান আহমেদের উপকূলীয় অঞ্চলে চাকরির সুবাদে সাগরের মাছ, হরিণের মাংস পৌঁছে যেতেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি ,পিএস ,এপিএস ও প্রভাবশালী নেতাদের বাসায়। উল্লেখ্য সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলা পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদারের খুঁটির জোড় কোথায় তা জানতে চায় সুধীমহল থেকে সর্বস্তরের মানুষ। সরে জমিনে তদন্তকালে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায় সাতক্ষীরা জেলার গাবুরা ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০৪০ কোটি টাকা ব্যয় মেগা প্রকল্পে হরিলুট করেছেন এই আওয়ামী লীগ ক্যাডার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ইমরান সরদার। এছাড়া বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়ন জাইকার দেওয়া ৯৭কোটি টাকা ব্যয় বস্তা ডাম্পিং ও রাস্তা সংস্কারের ৭০% কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই আওয়ামী লীগ ক্যাডার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদার ও ট্যাক্স ফোর্সের কর্মকর্তারা। আর গাবুরা ইউনিয়নে মেগা প্রকল্পের ৭০শতাংশ বস্তা ডাম্পিং না করে ট্যাক্স ফোর্সের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে হাতিয়ে নিয়েছে শত কোটি টাকা এর মদদ দাতা। যাহা তদন্ত হলে সত্যতা মিলবে আয়নার মতো নির্বাহী প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে দেশে যখন অস্থিরতা বিরাজ করছে ঠিক সেই সময় নির্বাহী সালাউদ্দিন আহমেদের নির্দেশে ও পরামর্শে শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদার, সাজ্জাদ হোসেন উপসহকারী প্রকৌশলী ও ট্যাগ ফোর্সের কর্মকর্তারা এই সীমাহীন অপকর্ম করেছে। সরকার টাকা দিয়েছে উপকুলিয়া বানভাসি মানুষের বেড়িবাধ রক্ষার জন্য আর সেই টাকা লুটপাট করে পকেটে ভরেছে রাঘব বোয়াল নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান আহমেদ সরদার উপসহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন ও ট্যাগ ফোর্সের কর্মকর্তারা। প্রাপ্ত তথ্য জানা যায় ইমরান আহমেদ সরদার তার নিজ বাড়ি মাগুরায় বিশ্ব ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের এলাকায় সে ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিল সেই প্রভাব খাটিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পদে চাকরি নেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার এখন ক্ষমতায় না থাকলেও তার দুর্নীতি আর ঘুষ বাণিজ্য এখনো থামেনি বহাল তবিয়াতে চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাহী ফুরফুরা শরীফ সালাউদ্দিন আহমেদ সাজ্জাদ হোসেন ও ইমরান সরদার। তার এই দুর্নীতি খুটির জোর কোথায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সুধী মহল জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে। সাধারণ মানুষ সুধী মহল জনপ্রতিনিধিরা তদন্ত করে এই কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে। শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে মেগা প্রকল্পের মাটির কাজেও এই সমস্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সহতায় চলছে সীমাহীন লুকোচুরি ও দুর্নীতি সরকারের দেওয়া মেজারমেন্ট অনুযায়ী কোন জায়গায় কাজ হচ্ছে আবার কোন জায়গায় পুকুর চুরি হচ্ছে। টলার অথবা কার্গো যোগে মাটি টেনে এনে বাঁধ নির্মাণ করার কথা থাকলেও তা না করে নদীর চর রাস্তার গোড়া থেকে ও সাধারণ মানুষের বাড়িঘর কেটে মাটি নিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে যাহা সম্পূর্ণ নকশা বহির্ভূত। সালাউদ্দিন আহমেদ সাজ্জাদ রহমান ও ইমরান আহমেদের এই সমস্ত দুর্নীতি অপকর্ম ঘুষ বাণিজ্যের প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন সংবাদ সম্মেলন সহ নানা জায়গায় স্মারকলিপি দেওয়ার পরেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাদের বিরুদ্ধে। সে কারণে সর্বস্তরের মানুষের একটাই প্রশ্ন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদারের খুটির জোর কোথায়। এছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন আহমেদের সীমাহীন অপকর্ম ঢাকার বা কারা। ইমরান সরদারের তার গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলার জেলা জামাতের আমির ও জেলা বিএনপির সভাপতি সহ সাধারণ মানুষ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ইমরান সরদার দলীয় প্রার্থী শাকিব আল হাসানকে বিজয় করার সহায়তা হিসাবে১৩ লক্ষ টাকা নির্বাচনী খরচ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এই প্রতিবেদক মাননীয় পানি উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে কথা বলে পানি উপদেষ্টা মহোদয়ের পরামর্শ ক্রমে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেইলে সালাউদ্দিন আহমেদ। সালাউদ্দিন আহমেদ সাজ্জাদ হোসেনওইমরান সর্দারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন যাহা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।মহোদয়, সম্মান সহকারে আপনাকে অবহিত করছি যে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পুর কৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান আহমেদ সরদার ও সাজ্জাদুর রহমান বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়ম ঘুষ বাণিজ্য বহাল তবিয়াতে চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি শ্যামনগর উপজেলায় দীপ ইউনিয়ন গাবু রায় ১০৪০ কোটি টাকা ব্যয় মেগা প্রকল্প চলমান কাজে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম করেছে। এখানে নির্ধারিত বস্তা ড্যাম্পিং এর ৭০% বস্তা ডাম্পিং না করে সালাউদ্দিন আহমেদ নির্বাহী পরি কৌশলী সাতক্ষীরা ইমরান আহমেদ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শ্যামনগর ও সাজ্জাদুর রহমান উপসহকারী প্রকৌশলী শ্যামনগর ও টেক্সফোর্সের প্রতিনিধিরা ঠিকাদারদের কাছ থেকে এই টাকা নিয়ে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে। তাছাড়া সাতক্ষীরা জেলার বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নে জাই কার দেওয়া ৯৭টাকার কাজে ও বস্তা ডাম্পিং করার বরাদ্দ ছিল নয় লক্ষ৫০ হাজার সেখানে বস্তা ড্যাম্পিং হয়েছে মাত্র ৬ লক্ষ সালাউদ্দিন আহমেদ নির্বাহী পুর কৌশলে নির্দেশে কাগজপত্র সব বস্তা ডাম্পিং দেখিয়ে দিয়েছেন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান আহমেদ ও সাজ্জাদুর রহমান তৎকালীন উপসহকারী প্রকৌশলী। ট্যাক্স ফোর্সের কর্মকর্তাদের শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডাকবাংলায় বসিয়ে রেখে সেখানে বসে কাগজপত্র স্বাক্ষর করে টাকা-পয়সা ভাগবাটোরা করেছে। যাহা তদন্ত হলে সত্য প্রমাণ হবে এবং সত্যতা প্রমাণ করতে প্রত্যক্ষদর্শীরা তৎপর রয়েছে। এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সাতক্ষীরা মেগা প্রকল্পে যে দুর্নীতি করেছে তা বাংলাদেশের সকল দুর্নীতির রেকর্ড অতিক্রম করেছে। শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করলে সব অভিযোগের সত্যতা মিলবে। ডাম্পিং বস্তা পানির তলায় থাকে সে কারণে বস্তা ফেলানোর পরে আর কোন নমুনা থাকেনা সে কারণে সেই জায়গাটাই চলমান অবস্থায় ভিন্ন থাকায় কাগজপত্র সকল বস্তা ড্যাম্পিং দেখানো হয়েছে ট্যাক্স ফোর্সার কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে।
এই প্রতিবেদক তার অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন মহোদয় এই উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বাড়ির মাগুরা জেলায় বিশ্ব ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন বলে মাগুরার জেলা জামাতের আমির ও জেলা বিএনপির সভাপতিসহ বিভিন্ন তথ্য থেকে এই তথ্য ও উদঘাটন করা হয়েছে। তিনি গত নির্বাচনের সময় শাকিব আল হাসানকে নির্বাচনের খরচের জন্য ১৩লক্ষ টাকা সহায়তা করেছেন যার প্রমাণ ওই এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিদরা সবকিছু প্রমাণ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। এছাড়া সাজ্জাদুর রহমান স্কুল জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকায় তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ মৃত মন্ত্রী নাসিম সাহেবের এলাকায় সে কারণে নাসিম সাহেবের হাত ধরে কেডা গাড়িতে মিল না থাকলেও যোগাযোগের ভিত্তিতে উপসহকারী প্রকৌশলী চাকরিতে যোগদান করেন যাহা তদন্ত হলে সবকিছুর প্রমাণ মিলবে। এছাড়া তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন আহমেদ তিনিও ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের বিভিন্ন বড় পদে নিয়ে যেতে ছিলেন সেই ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যোগাযোগের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর চাকরি নেই। চাকরি নিয়ে বদলি হয়ে সাতক্ষীরা তে যায় সেখানেই তার কপাল খুলে যায় মেগা প্রকল্পের টাকায় তিনি এখন শত শত কোটি টাকার মালিক যাহা তার নিজ তার স্ত্রী তার নিকটস্থ আত্মীয়স্বজন তার পিতা-মাতা এদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সভা-সম্পত্তির কি করলে দুর্নীতির আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এই প্রতিবেদক তার অভিযোগে আরো বলেন মহোদয় এই উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান আহমেদ ছাত্র জীবনে প্রথমে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন পরে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চাকরিতে যোগদান করেন। তার চেয়ে অনেক মেধাবী ছাত্র ছিল তাদেরকে পিছিয়ে ফেলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এই চাকরিতে যোগদান করেন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান আহমেদ।
এই প্রতিবেদ ক তার অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন মহোদয় শ্যামনগর উপজেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নারে অবস্থিত, এটি সবচেয়ে উপকূলীয় অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা এই উপজেলায় বারটি ইউনিয়নের আটটি ইউনিয়ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সম্পৃক্ত। এখানে সারা বছর নদী ভাঙ্গন একটার পর একটা লেগে থাকে সে কারণে সব সময় ইমারজেন্সি কাজ চলমান থাকে। এই ইমারজেন্সি কাজে যে বরাদ্দ থাকে তা ৩০ শতাংশ কাজ করে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান আহমেদ কোন ঠিকাদাররা কাজের সাইডে আসে না ইমরান আহমেদ নিজেই ঠিকাদার আবার নিজেই তদারকি কর্মকর্তা সেজে এই কাজ করে থাকেন। এই অপরাধের সাথে তৎকালীন ও বর্তমান ঢাকা পানিভবনে নিয়োজিত নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। প্রত্যক্ষ তো সেটা জানান সকল অপকর্মের হোতা নির্বাহী প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন আহমেদ মেগা প্রকল্প সহ যে সমস্ত প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতি ঘুষ বাণিজ্য হয়েছে তার সব ঘটনার সাথে সালাউদ্দিন আহমেদ জড়িত রয়েছে । সালাউদ্দিন আহমেদ শত শত কোটি টাকা মেগা প্রকল্প ও অন্যান্য প্রকল্প থেকে হাতিয়ে নেওয়ার পরে মেগা প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই দ্রুত গতিতে উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে বদলির আবেদন করে তড়িঘড়ি করে বদলি হয়ে ঢাকা পানীয় ভবনে চলে এসেছে । তবে এখনো তার সাতক্ষীরার দুর্নীতি থামেনি ঢাকা পানি ভবনে বসে বসে ঠিকাদারদের কাছ থেকে এখনো বাকি পাওনা টাকা প্রতিনিয়ত তাগাদা করছে । যাহা নির্বাহী পুরকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে । এদিকে ঠিকাদারদের সাথে যে চুক্তি থাকে সেই চুক্তি মাফিক টাকা ঠিকাদাররা দফায় দফায় কাজ চলমান অবস্থায় ইমরান আহমেদের মাধ্যমে কাছে পৌঁছে দেয়।
তিনি আরো উল্লেখ করেছেন মহোদয় সালাউদ্দিন আহমেদ সাজ্জাদুর রহমান ও ইমরান আহমেদের এই সীমাহীন দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং ও জেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে বারবার অভিযোগের চিত্র উঠে এসেছে কিন্তু তারা কোন কিছু তক্কা না করে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছে। যাহাতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে মারাত্মক । ইমরান আহমেদ সহ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের ক্যাডার হওয়ায় চলমান সরকারের উন্নয়নের কাজে দুর্নীতি অনিয়ম করে সরকারকে জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য সর্বদাই প্রস্তুত রয়েছে এবং সেই মাফিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই অভিযোগের একদিন আগেও এই প্রতিবেদক আরও একটি অভিযোগ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে দাখিল করেছেন পরে ২২/০১/১২ তারিখে নতুন করে সালাউদ্দিন আহমদ ইমরান সরদার ও সাজ্জাদুর রহমানের বিরুদ্ধে আরও একটি আবেদন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, মাননীয় পানি উপদেষ্টা, ও চেয়ারম্যান দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক বরাবর দাখিল করেছেন। যার অনুলিপি নিম্ন বর্ণিত কর্মকর্তাদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
১/সচিব মহোদয় পানি মন্ত্রণালয় পানিভবন ঢাকা
২/মহাপরিচালক বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পানিভবন ঢাকা
৩/ প্রধান প্রকৌশলী দক্ষিণ অঞ্চল খুলনা
৪/নির্বাহী পুরকৌশলী বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা ( ১)
বিষয়টি নিয়ে উদ্যতন কর্তৃপক্ষ যদি এক্ষুনি এই দুর্নীতিবাজ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ বানের জলে ভেসে যাবে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদার ও উপসহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদুর রহমানের কাছে কাছে জানতে চাইলে সালাউদ্দিন আহম্মদ ও সাজ্জাদুর রহমান ফোন রিসিভ করেনি আর ইমরান আহমেদ বলেন দুর্নীতি হলে দেখার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষর আছে কিন্তু সাংবাদিকদের দেখার দায়িত্ব নহে সে কারণে আমি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি নহে কথা বলব আমার ডিপার্টমেন্টের সাথে। তাছাড়া ইমরান আহমেদ আরো বলেন দুর্নীতি যদি হয়ে থাকে কর্তৃপক্ষ দেখবে সাংবাদিকদের এত মাতামাতি কেন আমরা সাংবাদিকদের জবাব দিতে চাকরি করতে আসেনি সাংবাদিকদের যা খুশি লিখুক এতে কিছু যায় আসে না এগুলো আমরা টিস্যু পেপার মনে করি।
এদিকে সাতক্ষীরার এই মেগা প্রকল্পের সীমাহীন দুর্নীতি অনিয়ম ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে এই প্রতিবেদক পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপানোর পরেও প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় কে অবহিত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা কাছে অভিযোগ দাখিল করেছেন এবং প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে সাক্ষাতের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে আবেদন করেছেন। প্রিয় দর্শক পাঠক গ্রাহক শুভাকাঙ্ক্ষী সবাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের খবর নিয়মিত এই প্রতিবেদকের নিয়ন্ত্রিত পিরিন্ট মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে সেজন্য আপনাদের নিয়মিত আমাদের সাথে থাকার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এবং দুর্নীতির অভিযোগে আরো নতুন নতুন তথ্য প্রদান করে এই প্রতিবেদককে সহায়তা করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

