ক্রীড়া প্রতিবেদক
দক্ষিণ আফ্রিকার পর জিম্বাবুয়ে, সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানে ঘায়েল আফ্রিকার দুই দেশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি সিরিজ জেতার পর জিম্বাবুয়ের মাটিতে বাবর আজমরা মাতলো টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের উল্লাসে। আজ (রবিবার) শেষ টি–টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ২৪ রানে হারিয়ে আফ্রিকা সফরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের তিন সিরিজই জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।
দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে চমক দেখিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। যাতে শেষ ম্যাচটি রূপ নেয় ‘ফ্ইানালে’। হারারের সিরিজ নির্ধারণী সেই ম্যাচে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবরের হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তান স্কোরে জমা করে ৩ উইকেটে ১৬৫ রান। কঠিন লক্ষ্যে জিম্বাবুয়ে ৭ উইকেটে করতে পারে ১৪১ রান।
জিম্বাবুয়েতে আসার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার তিনটি ওয়ানডে ও চারটি টি–টোয়েন্টি খেলে এসেছে পাকিস্তান। প্রোটিয়াদের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ ২–১ ব্যবধানে জেতার পর বাবররা টি–টোয়েন্টি সিরিজ জেতে ৩–১ ব্যবধানে। পারফরম্যান্সের সেই ধারা ধরে রেখে জিম্বাবুয়েতেও আলো ছড়িয়েছেন রিজওয়ান–বাবররা। ঘুরে দাঁড়ানো ম্যাচে ফর্মে থাকা দুই ব্যাটসম্যানই পেয়েছেন রান।
আরেকবার অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন রিজওয়ান। ওপেনিংয়ে নেমে একেবারে শেষ পর্যন্ত খেলেছেন। একটুর জন্য মিস করেছেন সেঞ্চুরি, খেলেছেন হার না মানা ৯১ রানের ইনিংস। ৬০ বলের চমৎকার ইনিংসটি এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান সাজান ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায়। আরেক ওপেনার শারজিল খান ১৮ রানে আউট হন। ওয়ান ডাউনে নামা বাবর করেছেন ৫২ রান। ৪৬ বলের ইনিংসটি পাকিস্তান অধিনায়ক সাজান ৫ বাউন্ডারিতে।
১৬৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে হাসান আলীর তোপের মুখে পড়েন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা এই পেসার ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে আলো ছড়িয়েছেন কেবল ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরে। এই ওপেনার ৪৭ বলে ৭ বাউন্ডারিতে করেন ৫৯ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে তাদিয়ানাশে মারুমানির ব্যাট থেকে।
হাসান ছাড়াও বল হাতে দারুণ দিন পার করেছেন মোহাম্মদ হাসনাইন। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে তার শিকার ১ উইকেট। হারিস রউফ ২ উইকেট পেলেও খরচ করেছেন ৩৪ রান।