By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
  • ALL E-Paper
Reading: সাফল্য এলেও ‘আধা নিবিড়’ চিংড়ি চাষে আগ্রহ কম
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > সাফল্য এলেও ‘আধা নিবিড়’ চিংড়ি চাষে আগ্রহ কম
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাফল্য এলেও ‘আধা নিবিড়’ চিংড়ি চাষে আগ্রহ কম

Last updated: 2025/11/19 at 2:27 PM
জন্মভূমি ডেস্ক 2 weeks ago
Share
SHARE

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : পরিবেশগত বিষয় বিবেচনায় রেখে পরিবেশবান্ধব ‘আধা নিবিড়’ চিংড়ি চাষ হচ্ছে উপকূলীয় জেলায়। গত ৮ বছর ধরে এ চাষ চললেও বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে। ফলে এ চাষ বিস্তার লাভ করেনি। তবে, ধৈর্য ধরে এ চাষে টিকে থাকায় সাফল্যের মুখ দেখছেন মো. আনারুল ইসলাম। ৮ বছর আগে সাতক্ষীরায় ১১ জন আধা নিবিড় চিংড়ি চাষ শুরু করেন। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সরে গেছেন অনেকেই। ধৈর্য ধরে লেগে থাকায় ২০২৪ সালে আনারুল আধা নিবিড় চিংড়ি চাষ করে সাড়ে ৩৮ লাখ টাকা আয় করেন। তিনি খামার পরিচালনা করছেন দেবহাটায়। চিংড়ি চাষে ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আনারুল বলেন, ‘চিংড়ি চাষে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রয়েছে। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের পরও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঘেরের পানির তাপমাত্রায় হঠাৎ পরিবর্তন আসে— যা চাষীদের ক্ষতি করছে।’
আনারুল জানান, চিংড়ি চাষে তিনি সরকার অনুমোদিত বৈধ উপকরণ ব্যবহার করে থাকেন। উৎপাদনে তিনি কখনও গ্রোথ হরমোন বা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন না। সম্পূরক খাদ্য হিসেবে সর্বদা ভালো কোম্পানির মানসম্মত ফিড ব্যবহার করে থাকেন। ২০২৪ সালে বাগদা চাষে অভাবনীয় সাফল্য পান। আনারুল দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গাশিসা গ্রামের আহছানিয়া ফিস বাগদা খামারের মালিক।
তার খামারে রয়েছে ১২টি পুকুর, যার আয়তন ৯ হেক্টর, জলায়তন ৪.৮০ হেক্টর। এটি একটি আধা নিবিড় বাগদা চিংড়ি খামার।
আনারুল জানান, ২০২৪ সালে খামারের ৪.৮০ হেক্টর জলাশয়ের ১২টি পুকুরে ৬১.২৫ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন করেছেন। হেক্টর প্রতি ১২.৭৬ মে. টন বাগদা চিংড়ি উৎপাদন হয়। প্রতি হেক্টরে ব্যয় হয়েছে ৭০.৮৩ লাখ টাকা, আয় করেছেন ১০৯.৩৮ লাখ টাকা। হেক্টর প্রতি তার লাভ হয়েছে ৩৮.৫৪ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, মৎস্য অধিদফতর তার খামারের খাদ্য নমুনায়ন করে এ পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনও গ্রোথ হরমোন বা এন্টিবায়োটিক পায়নি। চিংড়ি নমুনায়ন করেও এ পর্যন্ত কোনও গ্রোথ হরমোন বা এন্টিবায়োটিক, কীটনাশক, নিষিদ্ধ কোনও ক্যামিক্যাল পাওয়া যায়নি। ঘের প্রস্তুতকালীন পরিবেশেরও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে বা নিষিদ্ধ কোনও ক্যামিক্যাল তিনি ব্যবহার করেননি।
জাল ফেলে ঘের থেকে চিংড়ি ধরা হচ্ছে
এ প্রসঙ্গে দেবহাটা উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আবুবকর সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উপজেলায় বর্তমান ৩টি আধা নিবিড় বাগদা খামার রয়েছে। আধা নিবিড় খামার বাড়ানোর জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কারণ সনাতন পদ্ধতিতে যেখানে হেক্টর প্রতি মাত্র ৩৫০ কেজি বাগদা উৎপাদিত হয়, সেখানে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে হেক্টর প্রতি ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার কেজি বাগদা উৎপাদন সম্ভব। আনারুল ২০২৪ সালে সাড়ে ৩৮ লাখ টাকা লাভ করেছেন— আধা নিবিড় চিংড়ি চাষ করে। যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সাড়া জাগানো খবর। এ ধরনের আধা নিবিড় পদ্ধতি অনুসরণ করে আশপাশের অনেক বাগদা চিংড়ি চাষি এটি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। ফলে আধা নিবিড় বাগদা চিংড়ির খামার সম্প্রসারিত হচ্ছে।’
দেবহাটা উপজেলা মৎস্য দফতর সূত্রে জানা যায়, দেবহাটা উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর আয়তনের ৭৭৫টি গলদা ঘের রয়েছে, যার উৎপাদন ৮৮৯ মেট্রিক টন। এছাড়া ৮৮৯৩ হেক্টর আয়তনের ৭৪৬৯টি বাগদা চিংড়ি ঘের রয়েছে, যার উৎপাদন ৩৩৯০ মেট্রিক টন। অপরদিকে মাত্র ১১ হেক্টর আয়তনের ৩টি আধা নিবিড় বাগদা খামার রয়েছে— যার উৎপাদন ১৪৩ মেট্রিক টন। দেবহাটা উপজেলায় মাছের ৪৯৩৩ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে ১০৪৮১ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। অর্থাৎ ৫৫৪৮ মেটিক টন মাছ বেশি উৎপাদিত হয়। মাছ ও চিংড়ি চাষে সমৃদ্ধ এ উপজেলা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানিতেও ভূমিকা রাখছে।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিএম সেলিম বলেন, ‘এ জেলায় ৫৪ হাজার ঘেরের ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে ২৬ হাজার মেট্রিক টন বাগদা ও ১১ হাজার ঘেরের ৯ হাজার হেক্টর জমিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন গলদা চিংড়ি উৎপাদন হয়। এগুলো সাধারণ ঘের। পাশাপাশি ১১টি ঘেরে আধা নিবিড় পদ্ধতির চিংড়ি চাষ হয়। সেখানে হেক্টর প্রতি সর্বোচ্চ ৭ মেট্রিক টন ও সর্বনিম্ন ৩ মেট্রিক টন পর্যন্ত উৎপাদন হয়। কিন্তু এ চাষ পদ্ধতির শুরুতে খরচের পরিমাণ বেশি। আবার সাধারণ ঘেরের চেয়ে আধা নিবিড় পদ্ধতির চাষে উৎপাদন ৩-৪ গুণ বেশি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আধা নিবিড় চিংড়ি চাষেও পড়ছে। হঠাৎ বৃষ্টি, দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে গভীর ঘেরের পানির তাপমাত্রায় মারাত্মক পরিবর্তন ঘটে— যা চিংড়ির জন্য ক্ষতিকর। এ কারণে আধা নিবিড় চিংড়ি চাষের বিস্তার নেই। তবে খরচ বাড়লেও উৎপাদন অনেক বেশি হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আধা নিবিড় চিংড়ি চাষের ঘেরের গভীরতা ৫ ফিট করার কথা বললেও অনেকেই খরচের কারণে ৩ ফিট করে রাখেন। যা চাতুর্যময়। এ কারণে তারা ক্ষতির মুখে পড়েন। আবার অনাবৃষ্টির পর তাপ বেড়ে পানির তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় হঠাৎ বৃষ্টিতে আবার তাপমাত্রা মাত্রাতিরিক্ত কমে যায়। পানিতে তাপমাত্রার এই অস্বাভাবিক পরিবর্তনও আধা নিবিড় চিংড়ি চাষে হুমকি।
সাতক্ষীরায় আধানিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে লাভবান।
উপকূলীয় এলাকায় চিংড়ি চাষে সম্ভাবনা দেখাচ্ছে আধা নিবিড় পদ্ধতির চিংড়ি চাষ।ই সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে চলতিই বছর আধা নিবিড় (সেমি ইনটেনসিভ) পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন ওই এলাকার চিংড়ি চাষিরা।
সাধারণ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে যে উৎপাদন হয়, আধা নিবিড় পদ্ধতিতে তার চেয়ে প্রায় ৩০ গুণ বেশি চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে বলে জানান মৎস্য চাষিরারা
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের ২৫ জন চিংড়ি চাষি আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চাষ করে সফল হয়েছেন। কমিউনিটি বেজড ক্লমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ, মৎস্য অধিদপ্তর, জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থার যৌথ এক প্রকল্পের মাধ্যমে উৎসাহিত হয়ে এ চাষে মনোনিবেশ করেন তারা। এ পদ্ধতিতে একটি এক বিঘা মৎস্য ঘেরে প্রায় ১২ হাজার চিংড়ি পোনা ছাড়া যায়। যা প্রায় ৪ মাসের মাথায় বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে। গত বছর থেকে এই পদ্ধতিতে উপকূলের কিছু চাষি চিংড়ি চাষ শুরু করেন। যা উৎপাদিত হয়েছে আগের চেয়ে দ্বিগুণ। সনাতন পদ্ধতিতে যেখানে হেক্টরপ্রতি ৩০০-৫০০ কেজি চিংড়ি উৎপাদন হতো, সেখানে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে উৎপাদন ৫ হাজার কেজি ছাড়িয়ে যায়।
শ্যামনগরের আধা নিবিড় চিংড়ি চাষি মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে তিনি এ চাষ শুরু করেন। প্রথমে ভয় কাজ করলেও পরবর্তীতে তা কেটে গেছে। আগের চাষ পদ্ধতির তুলনায় এ পদ্ধতিতে চাষ করে তিনি বেশি উৎপাদন পেয়েছেন। যা উৎপাদন হয়েছে তাতে স্থানীয়দের মাঝে রীতিমতো সাড়া পড়েছে বলে জানান তিনি।
দেবহাটা এলাকার চিংড়ি চাষি মাহমুদুল হক লাভলু বিশ্বাস জানান, তাদের এ সাফল্য দেখে এ অঞ্চলের চিংড়ি চাষিরা অল্প জমিতে অধিক উৎপাদনের আশায় আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার জানান, আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করলে সব খরচ বাদ দিয়ে বছরে চাষিরা দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা লাভ করতে পারবেন বিঘাপ্রতি।
খুলনা বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা (সহকারী পরিচালক) রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, বাগদা চাষে এখন প্রধান সমস্যা হচ্ছে বাগদার পোনা টিকিয়ে রাখা। তবে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে সঠিক নার্সিংয়ের মাধ্যমে পোনার মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব। গতানুগতিক পদ্ধতি পরিহার করে উপকূলের চিংড়ি চাষিরা আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে অনেক বেশি লাভবান হওয়ায় চিংড়ি চাষে নতুন এক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

জন্মভূমি ডেস্ক November 19, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article শুধু নির্বাচন নয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই বিএনপির মূল লক্ষ্য : মির্জা ফখরুল
Next Article সুন্দরবন রক্ষা করবে কে?

দিনপঞ্জি

December 2025
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
« Nov    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
তাজা খবরসাতক্ষীরা

উপকূলীয় মানুষের জন্ম রক্তে, মরণ লোনা পানিতে

By করেস্পন্ডেন্ট 2 hours ago
সাতক্ষীরা

পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি

By জন্মভূমি ডেস্ক 11 hours ago
খুলনাতাজা খবর

খুলনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী

By জন্মভূমি ডেস্ক 11 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

তাজা খবরসাতক্ষীরা

উপকূলীয় মানুষের জন্ম রক্তে, মরণ লোনা পানিতে

By করেস্পন্ডেন্ট 2 hours ago
সাতক্ষীরা

পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি

By জন্মভূমি ডেস্ক 11 hours ago
খুলনাতাজা খবর

খুলনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী

By জন্মভূমি ডেস্ক 11 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?