
ক্রীড়া প্রতিবেদক : দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপখ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দীর্ঘদিন ধরে গ্রুপপর্বের গণ্ডি পেরোতে পারছিল না বাংলাদেশ। তবে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টটির সর্বশেষ আসরে ২০০৯ সালের পর ফের সেমিফাইনালে পা রাখে লাল-সবুজের দল। যদিও কুয়েতের বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াইয়ের পর অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করে বাংলাদেশের দৌড় থেমে যায় শেষ চারেই।
দীর্ঘ ১৪ বছর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে নাম লেখানোয় খুশি হয়ে বাংলাদেশ দলকে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। রোববার দুপুরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জামাল ভূঁইয়াদের হাতে সেই অর্থ তুলে দেয়া হয়েছে। এ ঘোষণায় দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় দেড় লাখ টাকা করে পেয়েছেন।
টুর্নামেন্টে আলাদাভাবে নজর কাড়ায় তিন খেলোয়াড়কে বাড়তি অর্থ পুরস্কারও দিয়েছে ফেডারেশন। সাফে টুর্নামেন্ট সেরা গোলরক্ষক হওয়া আনিসুর রহমান জিকো আর উদীয়মান ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন পেয়েছেন এক লাখ টাকা করে। অন্যদিকে, ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।
বলে রাখা ভালো, সাফের ফাইনালে উঠতে পারলে বিশ্বনাথ নিজে গোটা দলকে ৫ লাখ টাকা উপহার দেবেন বলেছিলেন। এ কথা শুনে বিশ্বনাথের উদার মনের জন্য তাকে ৫ লাখ টাকা দেন সভাপতি। বিশ্বনাথের বলা কথাকে টিম স্পিরিটের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
কাজী সালাউদ্দিন বলেন, বিশ্বনাথ নিজেই ঘোষণা দিয়েছিল দল সেমিফাইনালে জিতলে সে পাঁচ লাখ টাকা দেবে। এটা স্পিরিটের অংশ। এ রকম খেলোয়াড়ই আমার দরকার। তাকেও আমার পক্ষ থেকে সামান্য অর্থ পুরস্কার।
খেলোয়াড়দের আর্থিক বোনাস দেয়া সম্পর্কে বাফুফে সভাপতি বলেন, আমার তেমন সামর্থ্য নেই। তাই খুব সামান্য অর্থ দিচ্ছি। তোমাদের অবশ্যই এর চেয়ে বেশি প্রাপ্য। আমার সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই আরও বেশি দিতাম।